ভোলা সদর উপজেলার ১২ নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুনসুর মিয়ার বিরুদ্ধে এক আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে গণসৌচাগার ও তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রীকে প্রভাব খাটিয়ে বদলী করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।
গতকাল ০৩ জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তোভূগী বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ,
ভোলা জেলা শাখা’র আহব্বায়ক এবং ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মোঃশহিদুল ইসলাম তালুকদার ।
অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক প্রত্যাশী ছিলাম। পাশাপাশি আমি বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ, ভোলা জেলা শাখার আহবায়ক এবং ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম নির্বাচনী ইশতেহার "গ্রাম হবে শহর" এই অঙ্গীকারে উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি আধুনিক পরিচ্ছন্ন ইউনিয়ন গঠনে জনগনের চাওয়াকে প্রত্যক্ষ বাস্তবায়নে রূপ দিতেই আমি আমার মেধা মননকে প্রতিনিয়ত প্রচার প্রসারিত করছি। সরকারের উন্নয়নমূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দলীয় প্রতীক প্রত্যাশী হওয়ায় এবং দলীয় প্রতীক বঞ্চিত হওয়ার পর থেকে আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকগণ প্রতিপক্ষ ১২ নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনসুর, পিতা- মৃত সুলতান আহমদ মিয়া এবং তার পালিত সন্ত্রাসী, ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক কারবারি, মাদক সেবনকারীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত হুমকি-ধমকি, মিথ্যা মামলা সৃজন, বাড়িঘর অফিস ভাংচুরসহ বিভিন্ন হয়রানী ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। ইতোমধ্যে সে তার নির্বাচনী প্রচারণায় একাধিকবার আমাকে হত্যা, এলাকা ছাড়া করা,আমার বসতবাড়ি ও অফিস ভেঙ্গে সরকারি রাস্তা বানানো, আমার বাড়ির দরজায় গণশৌচাগার করা, আমার সহধর্মিণীকে (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সেনা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান) ভোলা - ০১ আসনের সাংসদ জনাব তোফায়েল আহমেদ এর সুপারিশক্রমে পার্বত্য চট্রগ্রামে বদলি করা হবে বলে বহু ধরনের মানসিক নির্যাতন মূলক বক্তব্য দিয়ে আসছে। যার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে ক্রমশই এসব দৃশ্যমান ও অসহনীয় পর্যায়ে চলছে। যাহা আপনার একান্ত সু-দৃষ্টি যোগ্য বলে মনে করছি। উপরোক্ত বিষয়ে আমি থানায় সাধারন ডায়েরি করতে গেলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যায়।
এমতাবস্থায়, আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও ভোলা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১২ নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে সকল ধরনের অপশক্তি কঠোর হস্তে দমনে দল ও সরকার প্রধানের কাছে একজন মুজিব আদর্শের আওয়ামী কর্মীর অসহায় প্রার্থনা যাহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জননেত্রীর একান্ত মর্জি হয়।
এবিষয়ে অভিযুক্ত মুনসুর মিয়ার সাথে একাধিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।
এ প্রসঙ্গে ভোলা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, এধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে আমরা অবস্যই আইনি ব্যবস্থা নিবো, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।
ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আব্বাস উদ্দিন বলেন, অভিযোগের কপি আমি এখনো পাইনি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
সুত্র: ফ্রিডমবাংলা নিউজ