Responsive Ad Slot

Weather - Tutiempo.net
Factcheck লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Factcheck লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

ব্যক্তিগত ছবি ব্যবহারে ফেসবুক বা মেটার নতুন নীতির দাবিটি সঠিক নয়

কোন মন্তব্য নেই

শনিবার, নভেম্বর ২৭, ২০২১

ফেসবুকের নীতিমালা ও একাধিক ফ্যাক্ট চেকিং সংস্থার তথ্যের ভিত্তিতে দাবিটিকে নিছক গুজব হিসেবে চিহ্নিত করেছে ডিএনএন টোয়েন্টিফোর লাইভ।

সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকে ব্যবহারকারীর তথ্যের ব্যবহার সংক্রান্ত একটি পোস্ট বিভিন্ন পেজ এবং প্রোফাইল থেকে পোস্ট করা হয়েছে। দেখুন কিছু পোস্ট এখানে, এখানে, এখানে এবং এখানে

গত ২৪ নভেম্বর 'Partha Pratim Ray' নামের ফেসবুক পেজ থেকে একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দাবি করা হচ্ছে, ফেসবুকে ব্যবহারকারীর ছবি ব্যবহারে অনুমতির প্রয়োজন যেন না হয়, সেজন্য নতুন একটি নীতিমালা গ্রহণ করেছে ফেসবুক/মেটা। তবে ব্যবহারকারীরা নিজেদের ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট করে আপত্তি জানিয়ে রাখলে ফেসবুক/মেটা এ কাজ করতে পারবে না। দেখুন সেই পোস্টের স্ক্রিনশট—


ফ্যাক্ট চেক

বুম বাংলাদেশ যাচাই করে দেখেছে, ব্যবহারকারীর ছবি অনুমতি ছাড়াই মেটা (ফেসবুক) ব্যবহার করতে পারবে এ ধরণের দাবি ভিত্তিহীন। এছাড়া একটি বিশেষ আপত্তি বার্তা ফেসবুকে পোস্ট করলে ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নিরাপদ থাকবে, এই দাবিটির পক্ষেও কোনো নির্ভরযোগ্য সুত্র পাওয়া যায়নি। প্রথমত, ভাইরাল পোস্টটির প্রথম অংশে বলা হয়, 

"গতকাল ফেসবুক/মেটা নতুন নিয়ম চালু করছে, যার মাধ্যমে তারা আপনার ছবি অনুমতি ছাড়াই ব্যবহার করতে পারবেন। ভুলে যা‌বেন না, আজ শেষ দিন! তাই একটা কাজ করুন। আপনার বিরুদ্ধে মামলায় এ নিয়ম কাজে লাগানো হতে পারে। আপনি যা কিছু পোস্ট করেছেন - এমনকি মুছে ফেলা বার্তাও। এতে কোনো খরচ নেই, শুধু কপি করে পোস্ট করুন, পরে আফসোস করার চেয়ে ভালো হ‌বে।" 

কিন্তু ব্যবহারকারীদের জন্যে উন্মুক্ত ফেসবুকের 'টার্মস অব সার্ভিসেস' দেখা যাচ্ছে, ফেসবুকে পোস্টকৃত নিজের ছবি, ভিডিও সবই উক্ত একাউন্ট হোল্ডারের নিজস্ব সম্পত্তি। ফলে সেসব তথ্য অনুমতি ছাড়া ফেসবুকের ব্যবহার করার সুযোগ নেই। দেখুন স্ক্রিনশট—

পরবর্তীতে ফেসবুকের প্রতিষ্ঠানের নাম বদলে 'মেটা' হলেও সে নীতির কোনো পরিবর্তন হয়নি বলেও জানা গেছে। দেখুন এ নীতির বিস্তারিত তথ্য ফেসবুকের এই ব্লগে। এছাড়া একাধিক ফ্যাক্টচেকিং প্রতিষ্ঠান এ ধরণের ফেসবুকের বার্তাকে ভিত্তিহীন বলে চিহ্নিত করেছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক 'পলিটিফ্যাক্ট' এটিকে 'ভুয়া' দাবি করে আরো জানিয়েছে, একজন ব্যবহারকারী ফেসবুকে একাউন্ট খোলামাত্রই ফেসবুকের ঘোষিত নীতির প্রতি সম্মতি দিয়ে দেন। পরবর্তীতে কেবল একটি পোস্ট করে আপত্তি জানালে সেই নীতির কোনো পরিবর্তন সম্ভব নয়। দেখুন তাদের রিপোর্ট এখানে

এছাড়া স্নোপসসহ একাধিক ফ্যাক্টচেকিং সাইট তাদের রিপোর্টে এ ধরণের দাবিকে নিছক গুজব হিসেবে প্রমান করেছে। দেখুন এখানে এবং এখানে।

সুতরাং ফেসবুক প্রতিষ্ঠানের নামের বদলের ফলে এর ব্যবহারকারীর ছবি অনুমতি ছাড়া ব্যবহারের দাবিটি ভিত্তিহীন।


·     Claim Review :   গতকাল থেকে নতুন ফেসবুক/মেটা নিয়ম শুরু হয়েছে যেখানে তারা আপনার ছবি ব্যবহার করতে পারবে।

·        Claimed By :  Facebook Posts

·        Fact Check :  False


মেয়র জাহাঙ্গীর ও ইতির ফোনালাপ ফাঁস

কোন মন্তব্য নেই

মঙ্গলবার, নভেম্বর ২৩, ২০২১

গাজীপরের পৌর মেয়র ও এক নারীর গড়ম অডিও ফাস হয়েছে। এতিমধ্যেই এনিয়ে এলাজুরে আলোচনার ঝড় বইছে। এনিয়ে ওই মেয়রের দ্বিতৃয় ফোনালাপ ফাঁস হলো।


 

ফেজবুকে পোষ্ট দিয়ে ক্ষমা চাইলেন দুলাল সাহা

কোন মন্তব্য নেই

শনিবার, অক্টোবর ২৩, ২০২১

সম্প্রীতি সাম্প্রদায়িক হামলার প্রতিবাদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেজবুকে উসকানিমূলক পোষ্ট দিয়ে তোপের মুখে জাতীর কাছে ক্ষমা চাইলেন ঝালকাঠি জেলা সাবেক মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার দুলাল সাহা।

শনিবার (২৩ অক্টবর) সকালে তার Dulal Saha নামে ফেজবুক আইডি থেকে ওই পোষ্ট দেয়। ওই পোস্ট দেয়ার পরপরই জেলা শহরে সাধারণ মানুষের মাঝে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। বিভিন্ন সামাজিক লোকজন তাদের ফেজবুক পোস্টের মাধ্যমে ওই উত্তেজনামূলক পোস্টের প্রতিবাদ জানায়। এখানে দেখুন?

ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত লাগে তার এমন পোষ্টে জেলার সুশীল সমাজ প্রতিবাদ জানালে বেশ কিছুখন পর তোপের মুখে পেস্টটি ডিলেট করে জাতীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আরেকটি পেস্ট দেয় তাতে বলা হয় “আমার কোন স্ট্যাটার্স যদি কোন সম্প্রদায়ের অনুভূতিতে আঘাত লেগে থাকে, এটা অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়েছে, অসাবধানবশত হয়েছে, আমি সবার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি। দুঃখ প্রকাশ করছি

এর আগে Dulal Saha নামের ওই আইডি থেকে গত মঙ্গলবার (১৯ অক্টবর) সর্তক বার্তাঃ এই শিরোনামে তার অরো একটি পোস্ট নিয়েও সাধারনের মাঝে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। পোস্টটি সরাসরি দেখুন।

সম্প্রতি Dulal Saha নামে ফেসবুকে ক্রন্দনরত যে পোস্টটি দেয়া হয়েছিলো অনিচ্ছাকৃত ভাবে হয়েছে বলে ক্ষমাচেয়ে ওই আইডি থেকে পররর্তীতে আরেকটি পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়েছে।


সিদ্ধান্ত

ত্রুটি-বিচ্যুতি অনিচ্ছাকৃত ভুল যা একমাত্র মানব সমাজের মধ্যে নিহিত তা না হলে আমরা সকলেই আধ্যাত্মিক কোন সাধক হতাম তাই গুজব ছড়িয়ে দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট না করে সর্বপরি সম্প্রীতির বন্ধনে সকলে বিশ্বাসী এবং আত্মপ্রত্যয়ী হয়ে উঠি।

সুত্র: বাংলানিউজরির্পোট/ফ্রিডমবাংলানিউজ

মুফতি কাজী ইব্রাহিম আটক, তবুও থামছে না বিভ্রান্তি

কোন মন্তব্য নেই

সোমবার, অক্টোবর ০৪, ২০২১

 


সম্প্রতি ফেসবুকে একটি ভিডিও প্রচার করে ক্যাপশনে লেখা হচ্ছে, ‘মাওলানা ইব্রাহিমের ওপর ভারতের হামলা, ইলিয়াস হোসেন।

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সদস্যরা গ্রেপ্তার করতে গেলে তিনি ফেসবুক লাইভে এসে দাবি করেন, ভারতেরগুন্ডারা তাঁর লালমাটিয়ার বাসায় হানা দিয়েছে। ২০ মিনিটের বেশি সময় ধরে চলা এই লাইভে তিনি বলেন, ‘’-এর রাজাকার, সন্ত্রাসীরা তাঁর বাসা ঘেরাও করেছে।

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত ওই লাইভ ভিডিওকে কেন্দ্র করেই তৈরি করা। ফেসবুকের বিভিন্ন পেজ, গ্রুপ আইডিতে অসংখ্যবার শেয়ার হয়েছে ভিডিওটি এসব পোস্টের মন্তব্য পড়ে দেখা যায়, অধিকাংশ মানুষই তথ্যগুলো বিশ্বাস করছেন। তাঁরা ভিডিওতে দেওয়া তথ্যগুলো সঠিক বলে মনে করছেন।

কী আছে ভাইরাল ভিডিওতে

ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে, শুরুতে ইলিয়াস হোসেন নামের বিতর্কিত এক ব্যক্তি উপস্থাপকের ঢং- বলছেন, ‘আমার সমস্যা একটা জায়গায়, আর সেই জায়গাটা হচ্ছে ভারত।এই বাক্যটির পরই আরেকজন ব্যক্তিকে উপস্থাপকের ভূমিকা পালন করতে দেখা যায়।

ওই উপস্থাপক বলেন, ‘সুপ্রিয় দর্শক, আমাদের বাংলাদেশে ভারতীয় নাগরিক চাকরি করে। বিষয়টা কেমনে হয়? আমাদের বাংলাদেশের মানুষ দু-বেলা দু-মুঠো খাবারের জন্য চাকরি পায় না। তারপরও আমাদের বাংলাদেশে ওপরের লেভেলে ভারতের নাগরিক কীভাবে চাকরি করে?’

১৫ মিনিট সেকেন্ড দৈর্ঘ্যের এই ভিডিওর বাকি অংশে গত ২৮ সেপ্টেম্বর মুফতি কাজী ইব্রাহিম নামের পেজে প্রচারিত লাইভ ভিডিওটি জুড়ে দেওয়া হয়েছে। সময় জনৈক উপস্থাপককেও ভিডিওর আরেক পাশে দেখা যায়।

ভিডিওর শেষ দিকে ওই উপস্থাপক বলেন, ‘বাংলাদেশের প্রত্যেকটি ক্ষেত্রে এভাবে ভারতীয় নাগরিক ঢুকে গেছে। তাই নিজে সতর্ক থাকবেন, অন্যকেও সতর্ক রাখবেন। বাংলাদেশের পুলিশ, প্রশাসনসর্বত্র চাকরি করে ভারতীয় নাগরিক।


গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)

গত ২৮ সেপ্টেম্বর বিতর্কিত ইসলামিক বক্তা মুফতি কাজী ইব্রাহিমকে আটক করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) ছবি: আজকের পত্রিকা

ভাইরাল ভিডিওর উৎস বিভ্রান্তি

ভাইরাল হওয়া ভিডিওটি মূলত জি টিভি ওয়ান নামের একটি ইউটিউব চ্যানেলে গত ২৮ সেপ্টেম্বর প্রকাশিত হয়। এর পর ফেসবুকের বিভিন্ন গ্রুপ, পেজ আইডিতে ছড়িয়ে পড়ে। বেশির ভাগ পোস্টে দেখা যায়, মন্তব্যের ঘরে অ্যাডমিনের পক্ষ থেকে ভিডিওটি অন্তত ২০টি গ্রুপে পোস্ট করতে বলা হচ্ছে।

ভাইরাল ভিডিওর উৎস মুফতি কাজী ইব্রাহিমের লাইভ ভিডিওটি বিভ্রান্তিকর। ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (উত্তর) যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, রাষ্ট্রবিরোধী নানা উসকানিমূলক বক্তব্যের ব্যাখ্যা জানতেই তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সদুত্তর দিতে না পারলে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তিনি বলেন, ‘মুফতি ইব্রাহিম প্রায়শই বলেন, দেশ হিন্দুস্তানি দালাল, ‘’-এর এজেন্টে ভরে গেছে। সেগুলো নিয়েই আমরা তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করব।

আটকের পর ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) কে এম হাফিজ আক্তার বলেন, ‘মুফতি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ ছিল। তিনি ফেসবুক, ইউটিউব ওয়াজে উল্টাপাল্টা কথা বলেন। তাঁর এসব কথার জন্য মানুষের কাছে ভুল মেসেজ যায়। ওই সব অভিযোগ যাচাই করতে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা নিয়ে এসেছি।

আটকের পর দুটি মামলায় তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। এই দুটি মামলার একটি করেছেন জেড এম রানা নামের এক ব্যক্তি। তিনি মুফতি ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ প্রতারণার অভিযোগ এনেছেন। অন্যদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেউগ্রবক্তব্য দেওয়ার অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মামলাটি করেছে গোয়েন্দা পুলিশ।

বিষয়ে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মো. ফারুক হোসেন জানান, উগ্রবাদী বিভ্রান্তিমূলক তথ্য প্রচারের অভিযোগে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা করে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।

গ্রেপ্তারের আগে কৌশল হিসেবে ফেসবুকে এসে তিনি লাইভ ভিডিও প্রচার করেন এবং নানারকম বিভ্রান্তিকর তথ্য দিতে থাকেন। মুফতি কাজী ইব্রাহিমের ওই লাইভ ভিডিওতে করা দাবিগুলোর একটিও প্রমাণিত নয়।

বিভিন্ন সময়ে বাংলাদেশের নানা অভ্যন্তরীণ ইস্যুতে ভারত অন্যান্য দেশের হস্তক্ষেপের বিষয়ে এর আগেও মুফতি ইব্রাহিমকে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে। বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রমাণ ছাড়াই তিনি কথাগুলো বলতেন। করোনাভাইরাসসহ বিভিন্ন বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে সামাজিক মাধ্যমে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগও আছে তাঁর বিরুদ্ধে।

সিদ্ধান্ত

আটক মুফতি ইব্রাহিমের বিতর্কিত বিভ্রান্তিকর ভিডিওর দাবিকে কেন্দ্র করে নতুন আরেকটি ভিডিও নির্মাণ করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানো হচ্ছে। দেশের সরকারি চাকরির উচ্চপর্যায়ে ভারতীয় নাগরিক চাকরি করছেএমন কোনো তথ্য-প্রমাণ ওই ভিডিওতে দেওয়া হয়নি।

বরিশালের ইউএনওর দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবেদন করেনি তালাশ

কোন মন্তব্য নেই

মঙ্গলবার, আগস্ট ৩১, ২০২১

 


বেসরকারি ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের অনুসন্ধানমূলক অনুষ্ঠানতালাশ’-এর একটি পর্বের খণ্ডিত অংশ ফেসবুকে পোস্ট করে দাবি করা হচ্ছে, এটি বরিশাল সদরের বর্তমান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মুনিবুর রহমানের দুর্নীতির প্রতিবেদন।

সম্প্রতি বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র ইউএনওর মধ্যে দ্বন্দ্বে আলোচনায় উঠে এসেছে মুনিবুর রহমানের নাম। তালাশ টিম তাঁর দুর্নীতির তথ্য ফাঁস করেছিল অনেক আগেই- এমন শিরোনামে পোস্ট করা ভিডিও প্রতিবেদনটি তাই সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে ছড়িয়ে পড়েছে।


ভাইরাল ভিডিওর যে অংশটি বরিশালের বর্তমান ইউএনওর দুর্নীতির চিত্র দাবি করে প্রচার করা হচ্ছে, তা মূলত তালাশের ১৯০ তম পর্ব থেকে নেওয়া। তালাশের ভেরিফায়েড ইউটিউব চ্যানেলে ২০২০ সালের ২৮ আগস্ট পর্বটি প্রকাশ করা হয়।


পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার তৎকালীন প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের অনিয়ম স্বাক্ষর জালিয়াতি নিয়ে তালাশের ওই পর্বটি প্রচারিত হয়েছিল।

ওই প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আশ্রয়ণ প্রকল্পের কোটি ১২ লাখ ৭৫ হাজার টাকার বিলে ইউএনও মুনিবুর রহমানের স্বাক্ষর জাল করা হয়। ইউএনওর স্বাক্ষর জালিয়াতি নিয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।


মুনিবুর রহমান বরিশাল সদরে ইউএনও হিসেবে যোগ দেন ২০২০ সালের মে। এর আগে তিনি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তার দায়িত্বে ছিলেন। তালাশে প্রচারিত অনুসন্ধানের বিষয়বস্তু সে সময়েরই। তবে তালাশের ওই পর্ব যে সময়ে প্রচার করা হয়, তখন তিনি বরিশাল সদরে কর্মরত ছিলেন। ফলে তাঁর সাক্ষাৎকারে পদবির জায়গায়উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, বরিশাল সদরউল্লেখ করা হয়। এটিকে আশ্রয় করেই মূল ভিডিওটি সম্পাদনা করে তথ্য বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। দাবি করা হচ্ছে, তালাশ অনেক আগেই ওই ইউএনওর দুর্নীতি ফাঁস করেছিল।

গত বছরের ওই প্রতিবেদনে অনুসন্ধানের অংশ হিসেবে মুনিবুর রহমানের সাক্ষাৎকার নেয় তালাশ টিম। ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত ভিডিওতে তাঁর ওই সাক্ষাৎকারের ফুটেজ থেকে একটি স্ক্রিনশট নেওয়া হয়েছে। স্ক্রিনশট এবং উপস্থাপকের বক্তব্য এমনভাবে জুড়ে দেওয়া হয়েছে যেন মনে হবে, ইউএনও- দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত।

মূলত তালাশের ওই পর্বে পটুয়াখালীর তৎকালীন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের জালিয়াতির চিত্র তুলে ধরা হয়েছে। ঘটনার সময় ওই উপজেলার ইউএনও ছিলেন মুনিবুর রহমান। তপন কুমার তাঁর স্বাক্ষরই জাল করেছিলেন বলে তালাশের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।

ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশন তালাশের ব্যাখ্যা সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওটি নিয়ে গত ২০ আগস্ট তালাশের ফেসবুক পেজে ব্যাখ্যা দিয়ে একটি পোস্ট দেওয়া হয়। পোস্টে লেখা হয়, ‘অনুগ্রহ করে ভুল বুঝবেন না: তালাশের একটি পর্ব ভিডিও এডিট করে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে ফেসবুকে কে বা কাহারা উপস্থাপন করেছেন। প্রকৃত পক্ষে উক্ত পর্বে কোন ইউএনওর দুর্নীতি অনিয়ম প্রচারিত হয় নি। সাইবার সিকিউরিটির সাথে যারা কাজ করেন তাদেরকে বিষয়ে অবহিত করা হয়েছে।’ ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনে বিষয়ে একটি সংবাদ প্রতিবেদনও প্রচারিত হয়েছে।


প্রসঙ্গত, গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশালের সিঅ্যান্ডবি রোডে উপজেলা পরিষদ এলাকায় রাজনৈতিক ব্যানার অপসারণকে কেন্দ্র করে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলা ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে। নিয়ে পুলিশ ইউএনও বাদী হয়ে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহসহ বেশকিছু আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীকে আসামি করে পৃথক মামলা করেছেন।

সিদ্ধান্ত

ফেসবুকে সম্প্রতি প্রচারিত মিনিট দৈর্ঘ্যের ভিডিওটি সম্পাদনা করে তথ্য বিকৃতি ঘটানো হয়েছে। মূল ভিডিওটি পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা তপন কুমার ঘোষের অনিয়ম-দুর্নীতি নিয়ে প্রচারিত তালাশের অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। সেটিই সম্পাদনা করে বরিশাল সদর উপজেলার বর্তমান নির্বাহী কর্মকর্তা মুনিবুর রহমানের দুর্নীতির প্রতিবেদন বলে প্রচার করা হচ্ছে।

Don't Miss
©dnn24live all rights reserved
design by khyrul islam