Responsive Ad Slot

Weather - Tutiempo.net
Agriculture লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Agriculture লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

কচু শাকের অপকারিতা, যাদের না খাওয়াই ভালো?

কোন মন্তব্য নেই

বৃহস্পতিবার, অক্টোবর ১৩, ২০২২

সুস্থ থাকার জন্য চিকিৎসকরা প্রচুর পরিমাণে শাক-সবজি খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন তেমনি একটি উপকারী শাক হচ্ছে কচু শাক কচু শাকের উপকারিতা এবং পুষ্টিগুণ প্রচুর তাইতো এর চাহিদাও অনেক কচু শাকের পুষ্টিগুণ বেশি থাকায় এর চাহিদা ব্যপক শহরের তুলনায় গ্রামাঞ্চলে কচু শাক খুবই জনপ্রিয়

কচু শাক নানা ভাবে খাওয়া হয়। তবে কচুপাতা ভর্তা তরকারিতে বেশি জনপ্রিয়। বাংলাদেশের মানুষের কাছে ইলিশ, চিংড়ি, ছোট মাছ বা শুটকি মাছ দিয়ে কচু শাকের তরকারি খুবই জনপ্রিয়

কচুশাকে রয়েছে উচ্চমাত্রায় পটাশিয়াম, তাই হৃদরোগ স্ট্রোকের ঝুঁকিও কমায়। আমাদের শরীরে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ কমে গেলে সব ডাক্তাররাই কচু শাক খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। এই শাকে ভিটামিন -এর পাশাপাশি এতে রয়েছে ভিটামিন বি এবং সি-

এছাড়া কচুশাক আয়রনসমৃদ্ধ বলে এর সমাদর অনেক বেশি। এইশাক ভিটামিন -এর খুব ভালো উত্, রাতাকানা রোগসহ ভিটামিন -এর অভাবে হওয়া সব ধরনের রোগ প্রতিরোধে কচু শাক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এই কচু শাকই দৈনন্দিন পুষ্টি চাহিদার অনেকখানি পূরণ করতে পারে


কচুশাকের পুষ্টি উপাদান বেশি থাকায় সব বয়সের মানুষ খেতে পারে। এই শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এবং খনিজ উপাদান সমূহ। নিচে কচু শাকের পুষ্টি উপাদান আলোচনা করা হলো-

প্রতি ১০০ গ্রাম কচুশাকে থাকে, শর্করা-. গ্রাম, প্রোটিন- . গ্রাম, লৌহ-১০ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি- (থায়ামিন)-.২২ মিলিগ্রাম, ভিটামিন বি- (রাইবোফ্লেবিন)-.২৬ মিলিগ্রাম, ভিটামিনসি’-১২ মিলিগ্রাম, স্নেহ বা চর্বি-. গ্রাম, ক্যালসিয়াম- ২২৭ মিলিগ্রাম, খাদ্যশক্তি-৫৬ কিলোক্যালরি

এই শাকের সব চেয়ে বড় উপকারিতা হলো, এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম, ম্যাংগানিজ, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস। আমাদের দাঁত হাড়ের গঠনে কচু শাকের তুলনা হয়না। তাছাড়া ক্ষয়রোগ প্রতিরোধে কচু শাকের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। নিয়মিত কচু শাক খেলে দাঁত হাড় ভালো থাকবে

কচু শাকে পর্যাপ্ত পরিমাণে আয়রন থাকে। এই আয়রন আমাদের রক্তশূন্যতা ভোগা থেকে রক্ষা করে। তাই রক্তশূন্যতায় ভোগা রোগীদের জন্য কচু শাক খাওয়া অবশ্যই দরকার

কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে যা খাবারকে অতি সহজে হজম করতে সাহায্য করে। যেসব রোগীদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা আছে, তারা নিয়মিত কচু শাক খেতে পারেন। এতে আপনাদের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হবে

কচু শাকে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। ফলে এর লৌহ উপাদান আপনার দেহে সহজে আত্তীকরণ হয়ে যায়। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের ক্ষত সারাতে সাহায্য করে। তাই শিশুদের ছোট বেলা থেকেই কচু শাক খাওয়ানো প্রত্যেকের উচিত

কচু শাকে প্রচুর পরিমানে ভিটামিন থাকে। এটি আমাদের রাতকানা, ছানি পড়াসহ চোখের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধসহ দৃষ্টিশক্তি বাড়িয়ে দেয়। রাত কানা রোগ সারাতে কচু শাকের তুলনা হয় না

কচু শাক খেলে রক্তের কোলেস্টরেল কমে তাই উচ্চরক্ত চাপের রোগীদের জন্য কচু শাক এবং কচু বেশ উপকারী। নিয়মিত কচু শাক খেলে কোলন ক্যান্সার ব্রেস্ট ক্যান্সারের ঝুঁকিও দিন দিন কমে

কচু শাকে বিদ্যমান বিভিন্ন রকমের ভিটামিন খনিজ উপাদান গর্ভবর্তী মা শিশুর জন্য অনেক উপকারী। কচু শাক আমাদের কাছে সহজ লভ্য তাই দরিদ্র পরিবারের গর্ভবতী নারীরা ভিটামিন আয়রনের চাহিদা পূরণের জন্য কচু বা কচু শাক খেতে পারেন

আমাদের শরীরে অক্সিজেনের সরবরাহ সচল রাখতে কচু শাক বেশি কার্যকর ভূমিকা পালন করে। এই শাকের আয়রন ফোলেট রক্তের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এর ফলে অক্সিজেন সংবহন পর্যাপ্ত থাকে। এতে উপস্থিত ভিটামিন কে রক্তপাতের সমস্যা প্রতিরোধ করে থাকে

কচু শাকের অপকারিতা সামান্য পরিমানে রয়েছে। কচু শাক বা কচু খেলে অনেক সময় গলা চুলকায়। কারণ এতে অক্সলেট নামক উপাদান রয়েছে। এই জন্য কচু রান্না করার সময় লেবুর রস বা সিরকা ব্যবহার করা উচিত

তবে যাদের শরীরে অ্যালার্জির সমস্যা বেশি আছে তাদের কচু বা কচু শাক না খাওয়াই ভালো। কচুশাকের অপকারিতা এর মধ্যে আর একটি অন্যতম গ্যাসট্রিকের সমস্যা হতে পারে

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টি, রাজাপুরে ফসলে ক্ষতির শঙ্কা

কোন মন্তব্য নেই

মঙ্গলবার, ডিসেম্বর ০৭, ২০২১

ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে বৃষ্টির সাথে বাতাস পরবর্তিতে জমে থাকা বৃষ্টির পানিতে আমন ধানসহ গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। এছাড়া খেসারি ডাল ও শীতকালিন শাকসবজির ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা করছে কৃষকরা।  এদিকে দুই এক দিনের মধ্যে জমে থাকা বৃষ্টির পানি নেমে না গেলে খেসারি ডাল ও অন্যান শীতকালিন শাক সবজির ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে বলে জানিয়েছে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা। তবে ক্ষতির পরিমাণ কাটিয়ে উঠতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে বলেও জানায় কৃষি দপ্তর।

উপজেলা সদরের পিংড়ি, বাড়ইবাড়ি, পুকুরিজানা, সাউথপুর, সাংগর, মানকিসুন্দর এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, তিন দিনের টানা বৃষ্টি ও সাথে দমকা বাতাসে ধান গাছ মাটিতে নুয়ে পড়েছে। অধিকাংশ ধানের ছড়া পানির মধ্যে ডুবে রয়েছে। খেসারি ডাল ও শীতকালি শাক সবজির বাগানে পানি জমে রয়েছে। 

কৃষক আমির হোসেন ও সেলিম মিয়া জানায়, এ বছর আমনের ফলন ভাল হয়েছে তবে ধানের মাঠে বৃষ্টির পানি জমায় ফসল নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা করছেন তারা।

জব্বার হোসেন জানায়, দেনা করে জমিতে শীকালিন বিভিন্ন শাক সবজির আবাদ করেছিলাম। হঠাৎ বৃষ্টি আর জমে থাকা পানির কারণে ফসলের ক্ষতি হলে লোকসানে পড়তে হবে। এব্যাপারে কৃষি অফিসের পরামর্শ জরুরি হলেও এখন পর্যন্ত মাঠপর্যায়ে তাদের কাউকে দেখা যায়নি। 

উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. রিয়াজ উল্লাহ বাহাদুর বলেন, পরিপক্ক হওয়ার কারনে আমন ধান ক্ষতির আশঙ্কা নেই তবে দুই দিনের বেশি সময় পানি জমে থাকলে খেসারি ডালের ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। এছাড়াও অন্যান শীতকালিন শাক সবজিরও তেমন কোন ক্ষতি হবে না। ক্ষতির পরিমাণ কাটিয়ে উঠতে মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সব সময় পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। চলতি বছরে ১১২৫০ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে মাঠে রয়েছে ৮৪৩০ হেক্টর জমির ধান বাকিটা কর্তন করা হয়েছে। ৬ হাজার হেক্টর জমিতে রবি শস্যের আবাদ হবার কথা থাকলেও বর্তমানে ৪ হাজার হেক্টর জমিতে আবাদ হয়েছে। ২৩৫০ হেক্টর জমিতে খেসারি ডাল আর ৪৬০ হেক্টর  জমিতে শীতকালিন সবজি চাষ হয়েছে।

Jhalokathi বোরো আবাদে কৃষকদের প্রস্তুতি শুরু, লক্ষ্যমাত্রা ১২৫০০ হেক্টর

কোন মন্তব্য নেই

বুধবার, নভেম্বর ২৪, ২০২১

ঝালকাঠিতে আমন ধান কাটা শুরু না হলেও বোরো ধান চাষের প্রস্তুতি শুরু করেছে কৃষকরা। তারা বিএডিসির বীজ বিক্রয় কেন্দ্র ডিলারদের কাছ থেকে বিভিন্ন জাতের বীজ সংগ্রহ করে বীজতলা করতে মাঠে নেমেছে।

জেলার ৪টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলা নলছিটি উপজেলা বোরো প্রধান এই দুই উপজেলার ৪টি ইউনিয়নে জলাবদ্ধতার কারনে আমন আবাদ হয় না। সদর উপজেলার বাসন্ডা বিনয়কাঠি এবং নলছিটির ভৈরবপাশা মগড় ইউনিয়নে জলাবদ্ধতা থাকে প্রায় ৩০ হাজার একর জমি। এই কারনেই গ্রামগুলোর কৃষকরা শুধুমাত্র বোরো ধান আবাদের উপর নির্ভরশীল থাকে। আর গ্রামগুলির খাল এবং নদীর অংশ ভরাট হওয়ার কারনে পানি ওঠানামা করতে না পারায় পুরো বর্ষাকাল জুড়েই প্রায় ৫মাস ফসলি মাঠগুলো পানিতে তলিয়ে থাকে।

শীতের প্রবাহ শুরু হওয়ার সাথে-সাথে জলাবদ্ধ জমি থেকে পানি নেমে যাওয়ার সাথে-সাথে আগাছা পরিষ্কার করে এই গ্রামগুলির কৃষকরা আগাম বোরো আবাদ শুরু করে।

ঝালকাঠি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ মো. ফজলুল হক জানান, জেলায় বছর ১২ হাজার ৫০০ হেক্টরে বোরো ধানের আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এরমধ্যে ১৮০০ হেক্টরে হাইব্রিড ধানের আবাদ করা হবে। জেলা সদরের বিএডিসি বীজ কেন্দ্র থেকে বিক্রির জন্য বরাদ্দ দেয়া টন বীজ ধান বিক্রি শেষ হয়েছে এবং জেলার ২৫ জন ডিলারের মাধ্যমে ৯৭ টন বরাদ্দকৃত বীজ ধান বিক্রি হচ্ছে।

লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে কমছে ঝালকাঠি জেলার আউশ আবাদ

কোন মন্তব্য নেই

মঙ্গলবার, অক্টোবর ১২, ২০২১

 

ঝালকাঠি জেলায় এবছর লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১২শ ৫০ হেক্টরে আউশ আবাদ কম হয়েছে। আবাদ শুরুর পর থেকেই খরার কারণে বীজতলা পুড়ে ক্ষতিগ্রস্থ আর রোপনের পর দুটি প্রাকৃতিক দূর্যোগে আউশ আবাদ ব্যহত হয়েছে দাবী করেছেন জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর। তবে, বৈরি পরিস্থিতির মধ্যেও আউশ আবাদ থেকেও ৩২ হাজার ৯শ ৬৬ মে.টন চাল উৎপাদন হয়েছে। উৎপাদন গড় স্থানীয় জাত থেকে . মে.টন উচ্চ ফলনশীল জাত থেকে . মে.টন।

জেলার ১৪ হাজার ৪৯০ হেক্টরে আউশ আবাদ লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করা হয়। এর মধ্যে উচ্চ ফলনশীল জাত ১৩ হাজার ৪শ হেক্টর স্থানয়ী হাজার ৪৫০ হেক্টর।

১২ হাজার ৫২৯ হেক্টরে উচ্চফলনশীল ১৪৭১১ হেক্টরে স্থানীয় জাতের আবাদ হয় জেলায়। সর্বাধিক আবাদ হয়েছে কাঠালিয়া উপজেলা ৪৮২০ হেক্টরে। অন্য ৩টি উপজেলার মধ্যে সদর উপজেলায় ১৩৭০ হেক্টরে রাজাপুর উপজেলায় ১২৮০ হেক্টরে এবং নলছিটি উপজেলায় ৪২২ হেক্টরে।

Don't Miss
©dnn24live all rights reserved
design by khyrul islam