মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও গোয়েন্দা সূত্রজানায়, গত ০৬ ডিসেম্বর আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক এড. আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু বাদী হয়ে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে নামধারী এক ও অজ্ঞাত ৩/৪ জনকে আসামীকরে মামলা (নং-৭) দায়েরকরে।
মামলায় সদও উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ইসরাত জাহান সোনালীকে প্রত্যক্ষদর্শী, জেলা আইনজীবী সমিতির সদস্য এড.মীর রফিকুল ইসলাম আজম, এড. আবদুল আলিম, এড. মাহাবুব তালুকদার ও মওদুদ আহম্মেদ সহ কয়েকজনকে স্বাক্ষী করা হয়। পরের দিন ৭ ডিসেম্বর উক্ত মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক হযরত আলী তদন্তকালে প্রধান সাক্ষী ইসরাত জাহান সোনালীর জবানবন্দী গ্রহনকালে সে আ’লীগনেতা রেজভীর নাম প্রকাশ করেন।
সূত্র আরো জানায়, তাৎক্ষনিকভাবে পুলিশ আ’লীগ নেতা রেজভীর খোজে নামলে সে ঢাকায় অবস্থান করছে জানতে পেরে তাকে মোবাইলে ফোন দিয়ে জরুরীভিত্তিতে ঝালকাঠি থানায় যোগাযোগ করতে বললে পরের দিন ৮ডিসেম্বর সকাল সে থানায় উপস্থিত হয়। সেখান থেকে রেজভীকে পুলিশ সুপার কার্যালয়ে নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাসহ ডিবি পুলিশ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান সোনালীর দেয়া তথ্য সম্পর্কে ও দায়েরকৃত মামলার বিষয়ে তাকে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদ করেন। এসময় তার মোবাইল ফোনও ফেসবুক আইডি তল্লাশী কওে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে দায়েরকৃত মামলায় সম্পৃক্ততা পেয়ে রাত সাড়ে ৯টায় থানায় সোপর্দ করা হয়। পরেদিন ৯ডিসেম্বর বুধবার বিকাল সোয়া ৩টায় মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা আ’লীগ নেতা রেজভীকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৭দিনের রিমান্ডাবেদন জানিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে বৃহস্পতিবার শুনানী শেষে এ আদেশ দেন।
উল্লেখ্য ঝালকাঠির রাজনৈতিক অভিভাবক, ১৪ দলের মুখপাত্র আলহাজ্ব আমির হোসেন আমু (এমপি) ও তার পরিবারের সদস্যকে জড়িয়ে অপপ্রচারের ঘটনায় জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারন সম্পাদক ও এড. মনু বাদী হয়ে জেলা ছাত্রলীগ যগ্মসম্পাদক শেখ রাব্বিসহ অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনকে আসামী কওে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় দায়েরর পর সেদিনই ছাত্রলীগ নেতা শেখ রাব্বিকে গ্রেপ্তার ও তার মোবাইল, ল্যাপটপসহ ফেবুকআইডি ব্যাপক তল্লাশী করে উক্ত অপপ্রচার সংক্রান্ত কোন তথ্যপ্রমান না পাওয়ায় পুলিশ সাক্ষীদের জবানবন্দী গ্রহন শুরু করতেই ঘটনা নাটকীয় রুপ নেয়। তদন্তকালে আ’লীগ নেতা রেজভী ছাড়ার আরো কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতাকর্মীর নাম বেড়িয়ে আসায় শহরের পালবাড়ী এলাকার সুভাষ সিংহ রায় ও অনিক নামে দুই ছাত্রলীগ নেতাকে পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছেড়ে দেন। এছাড়াও আরোএকাধিক ছাত্রলীগ নেতাকেও আটক কওে জিজ্ঞাসাবাদ করা হতে পাওে বলে দন্তকারী কর্মকর্তা উপ পরিদর্শক হযরত আলী জানান।
আসন্ন পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে আ’লীগের মনোনয়ন পেতে শেখ রাব্বীকে জড়িয়ে ষড়যন্ত্রকারীরা এ ডিজিটাল অপরাধের আশ্রয়নিলেও আ’লীগ নেতা রেজভীকে গ্রেপ্তারের পর জনসমক্ষে থলের বেড়াল বেড়িয়ে আসতে শুরুকওে বলে নির্ভরযোগ্য সূত্রে জানায়।