Responsive Ad Slot

Weather - Tutiempo.net
Division লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Division লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

টেনিস কোর্টে ঝালকাঠির দুই রানীর জয়জয়কার

কোন মন্তব্য নেই

শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০২৫


ঝালকাঠি: বাংলাদেশের টেনিস অঙ্গনে নতুন আশার আলো হয়ে উঠছে ঝালকাঠির দুই টেনিস কন্যা সুস্মিতা সেন সুমাইয়া আক্তার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক টেনিস টুর্নামেন্টে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে দেশের টেনিসে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

গত জুলাই বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মেয়েদের দ্বৈত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন সুস্মিতা সেন সুমাইয়া আক্তার। এছাড়া একক ইভেন্টে সুমাইয়া আক্তার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। খেলা শেষে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তাদের কোচ হিসেবে সাথে ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান দুই টেনিস তারকার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জেলা প্রশাসক তাদের সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানান এবং দেশের জন্য আরও সাফল্য বয়ে আনার আহ্বান জানান।

পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আগামী এস গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেবেন সুস্মিতা সেন সুমাইয়া আক্তার। ইতিমধ্যেই তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাদের এই অর্জন শুধু ঝালকাঠি নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।

টেনিস কোচ জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল জানিয়েছেন, এই দুই টেনিস কন্যা নিয়মিত অনুশীলন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের টেনিস অঙ্গনকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি দেশবাসীর কাছে তাদের জন্য দোয়া শুভকামনা কামনা করেন।

ঝালকাঠির এই দুই টেনিস তারকার সাফল্যে জেলার ক্রীড়ামোদী মানুষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্য তারা অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠছে। এই দুই টেনিস রানীর হাত ধরেই বাংলাদেশের টেনিস অঙ্গন আরও সমৃদ্ধ হবে প্রত্যাশা সকলের।

কেন্দ্রের ফটকে তালা দিয়ে নেওয়া হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা

কোন মন্তব্য নেই

বুধবার, নভেম্বর ১৬, ২০২২


বরগুনার বেতাগী উপজেলায় কেন্দ্রের ভবনের প্রধান ফটকে তালা দিয়ে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা নেওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরীক্ষা চলাকালীন প্রতিষ্ঠানের স্টাফদের পাহারায় রেখে পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেওয়ারও অভিযোগ উঠেছে। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিনে উপজেলার মোকামিয়া ইউনিয়নের একটি কেন্দ্রে গিয়ে এই চিত্র দেখা যায়।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও পরীক্ষা কেন্দ্র কমিটির সভাপতি মো. সুহৃদ সালেহীনকে বিষয়টি মুঠোফোনে জানালে তিনি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান।

মঙ্গলবার পরীক্ষা চলাকালীন বেলা ১২টায় করুণা মোকামিয়া কামিল মাদ্রাসা কেন্দ্রে গেলে এই প্রতিবেদক মূল ফটকে তালাবদ্ধ দেখেন। এ সময় তালাবদ্ধ গেটের বাইরে মাদ্রাসার স্টাফদের নিয়ে অবস্থান করছিলেন কেন্দ্র সচিব ও এ মাদ্রাসার অধ্যক্ষ শাহ মো. মাহমুদুল হাছান ফেরদৌস। এ সময় গেটের আশপাশে পুলিশের উপস্থিত ছিল না।

এদিকে ফটকে দায়িত্বরত গার্ডকে সাংবাদিকেরা ভেতরে প্রবেশের জন্য তালা খুলতে বললে মোবাইলে কথা বলতে আড়ালে চলে যান। কিছুক্ষণ পর মোবাইলে কথা বলা শেষে তিনি সাংবাদিকদের পরীক্ষা কক্ষে নিয়ে যান।

ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার কয়েকটি কক্ষে গিয়ে গিয়ে দেখা যায়, কেন্দ্র সচিবের নিজ প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীসহ ছোপখালী জহুর উদ্দিন ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থীরা ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিচ্ছেন। এ সময় কেন্দ্রের দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা অন্য একটি ভবনের অফিস কক্ষে অবস্থান করছিলেন। সাংবাদিকদের উপস্থিতির খবরে তিনি কেন্দ্রে আসেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক মাদ্রাসা শিক্ষক বলেন, ‘করুণা মোকামিয়া কামিল মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা কেন্দ্রের ভবনের গেটে তালা দিয়ে নিজ প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থীদের অনৈতিক সুবিধা দেয়। এ জন্য তারা পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে আলাদা টাকাও আদায় করেছে।’

পরীক্ষা কেন্দ্রের মূল ভবনের ফটকে তালা লাগিয়ে কেন পরীক্ষা নেওয়া হচ্ছে জানতে চাইলে করুণা মোকামিয়া কমিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ও কেন্দ্রের কেন্দ্র সচিব শাহ মো. মাহমুদুল হাছান ফেরদৌস বলেন, যে কেউ কেন্দ্রে যেন প্রবেশ করতে না পারে তাই গেটে তালা দেওয়া হয়েছে।

কেন্দ্রে পুলিশ না থাকার বিষয়ে এই অধ্যক্ষ বলেন, ‘পুলিশ হয়তো ওয়াশ রুমে গিয়েছিল।’

কেন্দ্রে কোনো অনিয়ম হচ্ছে না দাবি করে তিনি আরও বলেন, ‘আমার এই প্রতিষ্ঠানের মতো সুষ্ঠুভাবে পরীক্ষা বাংলাদেশের আর কোথাও হয় না। আমি ভালো কাজ করি এত অভিযোগ।’

উপজেলার কলেজ ও মাদ্রাসার দায়িত্ব প্রাপ্ত একাধিক কেন্দ্র সচিব জানায়, পরীক্ষা চলাকালীন কেন্দ্রের ফটকে তালা দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই। কেন্দ্রের নিরাপত্তার জন্য গেটের বাইরে পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রের পক্ষ থেকে লোক থাকবে।

কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা এমাদুল হক বলেন, এই কেন্দ্রে যিনি দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ছিলেন তিনি ছুটিতে থাকায় আমি অতিরিক্ত হিসেবে এসেছি। কেন্দ্রে পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ রয়েছে এবং ভেতর কোনো সমস্যা হয়নি।

আংশিক মেঘলাসহ শুষ্ক থাকতে পারে আবহাওয়া

কোন মন্তব্য নেই

বুধবার, নভেম্বর ০৯, ২০২২


অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, ভোরের দিকে দেশের কোথাও কোথাও হালকা কুয়াশা পড়তে পারে এছাড়া, সারাদেশে রাত দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে

পরবর্তী তিনদিনে আবহাওয়ার উল্লেখযোগ্য কোনো পরিবর্তনের সম্ভাবনা নেই বলেও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে।

আবহাওয়ার সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়, লঘুচাপের বাড়তি উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে, কুতুবদিয়ায় ৩৩ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনি¤œ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে তেঁতুলিয়ায় ১৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

ঢাকায় সূর্যাস্ত সন্ধ্যা ৫ টা ১৫ মিনিটে এবং এবং আগামীকাল সূর্যোদয় ভোর ৬ টা ৯ মিনিটে।

চরমোনাই পিরের ব্যাংক হিসাব তলব

কোন মন্তব্য নেই

বুধবার, অক্টোবর ১২, ২০২২


চরমোনাই পির হিসেবে পরিচিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সিনিয়র নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মো. ফয়জুল করিমের ব্যাংক হিসাব তলব করেছে বাংলাদেশ ফাইন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)।

সম্প্রতি বিএফআইইউ থেকে ব্যাংকগুলোতে এ সংক্রান্ত চিঠি পাঠানো হয়। আর চিঠি পাওয়ার ৫ কর্মদিবসের মধ্যে অ্যাকাউন্টে লেনদেনসহ যাবতীয় তথ্য পাঠাতে বলা হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে- কোনো ব্যাংকে ফয়জুল করিমের নামে অ্যাকাউন্ট থাকলে তা জানাতে হবে। অ্যাকাউন্টে শুরু থেকে হালনাগাদ লেনদেন বিবরণী, জমা স্থিতি, কেওয়াইসিসহ বিভিন্ন তথ্য দিতে হবে। কোনো অ্যাকাউন্ট বন্ধ হয়ে থাকলে সে তথ্যও জানাতে হবে।

বিএফআইইউর চিঠিতে অ্যাকাউন্টের তথ্য চাওয়ার কারণ উল্লেখ করা হয়নি। এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে কেউ বক্তব্যও দিতে চাননি।

সাধারণত কারও বিরুদ্ধে অর্থপাচার, মানি লন্ডারিংসহ কোনো অস্বাভাবিক লেনদেনের অভিযোগ পাওয়া গেলে ব্যাংক তার হিসাব তলব করে বিএফআইইউ। আবার অনেক সময় আইনশৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনী অথবা অন্য সরকারি সংস্থার চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতেও তথ্য চাওয়া হয়।

বিএফআইউর চিঠিতে তার জন্ম তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ১৯৭২ সালের ৩ জানুয়ারি। তার পিতা প্রয়াত সৈয়দ মো. ফজলুল করিম এবং মা মোসাম্মৎ আলমতাজ বেগম। তার পিতা ফজুলুল করিম ছিলেন মূলত চরমোনাই পির।

২০২০ সালের ১৩ নভেম্বর যাত্রাবাড়ীর গেন্ডারিয়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্মাণাধীন ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে ফয়জুল করিমের একটি মন্তব্যকে কেন্দ্র করে ব্যাপক বিতর্ক দেখা দেয়। তার বক্তব্য নিয়ে নানা প্রতিক্রিয়ার পর তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহী মামলা হয়। পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) বর্তমানে মামলাটি তদন্ত করছে।’

বিশালদেহী বরিশালের বস’র দাম ৩৫ লাখ টাকা

কোন মন্তব্য নেই

বুধবার, জুলাই ০৬, ২০২২


ষাঁড়টির নাম রাখা হয়েছে ‘বরিশালের বস’। ওজন, আকৃতি ও স্বভাবে বসসুলভ আচরণে নামকরণের প্রমাণ মেলে। বরিশালের আগৈলঝাড়া উপজেলায় বেড়ে ওঠা ষাঁড়টির দাম হাঁকা হয়েছে ৩৫ লাখ টাকা। ওজন ২ হাজার ২০০ কেজি বা ৫৫ মণ।

কাঁঠাল খেতে ভালোবাসে বরিশালের বস। অনায়াসেই একসঙ্গে চার-পাঁচটি কাঁঠাল সাবাড় করে দিতে পারে। এ জন্য জ্যৈষ্ঠ মাসে ষাঁড়টির খাদ্যতালিকায় খামারি প্রতিদিন কাঁঠাল রাখেন। আগৈলঝাড়া উপজেলার রাজিহার ইউনিয়নের বড়বাশাইল গ্রামের শামীম সিকদারের খামারে তিন বছর ধরে বেড়ে উঠেছে ষাঁড়টি।

নামকরণের বিষয়ে জানতে চাইলে খামারি শামীম বলেন, তাঁর জানা মতে, বরিশাল জেলায় এমনকি বিভাগে এত বড় গরু দ্বিতীয়টি নেই। তাই নাম রেখেছেন ‘বরিশালের বস’।

বাবার গরুর ব্যবসা থেকেই ছোটবেলা থেকেই শামীমের গরু পালন শুরু। ২০১২ সালে ২০টি দেশি গরু দিয়ে তিনি খামার শুরু করেন। এখন তাঁর খামারে ৯৭টি গরু আছে। এর মধ্যে দুটি গাভি। প্রতিদিন একেকটি গাভি ১৮ থেকে ২২ কেজি করে দুধ দেয়।

শামীম বলেন, বিশালদেহী ষাঁড়টি মূলত অস্ট্রেলিয়ান হলিস্টিন ফ্রিজিয়ান জাতের। তিন বছর আগে খুলনার শাহাপুর এলাকা থেকে ফ্রিজিয়ান জাতের বাছুরটি কিনেছিলেন। তখন বয়স ছিল এক বছর। এরপর তাঁর খামারে নিয়ে এসে লালনপালন করেন। যত্নআত্তিতে ষাঁড়টি ওজনে-আকারে ‘বস’–এ পরিণত হয়েছে।

শামীম সিকদার জানান, তিন বছরে ষাঁড়টির খাবারের পেছনে খরচ হয়েছে ছয় লাখ টাকার বেশি। এর বাইরে আনুষঙ্গিক আরও এক থেকে দেড় লাখ টাকা খরচ হয়েছে। বর্তমানে ষাঁড়টির ওজন প্রায় ৫৫ মণ। উচ্চতা সাড়ে ৬ ফুট, লম্বায় সাড়ে ১০ ফুট। প্রতিদিন ষাঁড়টির পেছনে খাবার বাবদ খরচ হয় ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা। ভুসি, চিটাগুড়, খৈল, ছোলা, খুদের জাউ, ঘাস ইত্যাদি খেয়ে বড় হয়েছে ‘বরিশালের বস’।

শামীম বলেন, ষাঁড়টি কাঁঠাল খেতে খুব পছন্দ করে। এ জন্য খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন কাঁঠাল রাখেন। চার-পাঁচটি কাঁঠাল অনায়াসে সাবাড় করে ফেলতে পারে। পেট ফাঁপার কারণে এর বেশি খাওয়ান না। শামীমের দাবি, মোটাতাজাকরণে ষাঁড়টিকে কোনো ধরনের ওষুধ বা অন্য কোনো কৃত্রিমপন্থা অবলম্বন করেননি।

শামীমের খামারে ‘বরিশালের বস’ ছাড়াও ছোট–বড় ৯৮টি গরু আছে। এর মধ্যে ষাঁড়টির আচরণ কিছুটা আলাদা। এমনিতে সব সময় শান্ত থাকে। তবে রেগে গেলে নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন।

গত সপ্তাহে ‘বরিশালের বস’কে ট্রাকে চড়িয়ে বরিশাল নগর ও পার্শ্ববর্তী মাদারীপুর শহরে প্রদর্শন করা হয়। এর পর থেকে প্রতিদিন অসংখ্য লোক ষাঁড়টি দেখতে আসছেন। নির্জনতাপ্রিয় ‘বরিশালের বস’ এতে কিছুটা বিরক্ত। রুচিও কমে গেছে।

ক্রেতাদের সাড়া কেমন পাচ্ছেন জানতে চাইলে শামীম বলেন, প্রতিদিনই ষাঁড়টি দেখতে খামারে উৎসুক জনতা ভিড় করছেন। ঈদ এগিয়ে এলেও এখনো সেভাবে ক্রেতা আসছেন না। বড় গরুর হাট বা অন্য জেলায় নিয়ে বিক্রি করা কষ্টসাধ্য। তাই বাজারে না তুলে খামারে বিক্রি করতে চান। প্রয়োজনে দামে কিছুটা ছাড় দিতে রাজি তিনি।

এখন পর্যন্ত কত দাম উঠেছে—প্রশ্ন করলে শামীম বলেন, কয়েকজন গরুটি দেখতে এসেছেন। কিন্তু তাঁরা বরিশালের বাইরের। দামে পরতা না হওয়ায় রাজি হননি। একজন ক্রেতা ২২ লাখ টাকা দাম বলেছেন। ব্যয় ও লাভ মিলে পরতা না হওয়ায় রাজি হননি। ৩০ লাখ টাকার বেশি দাম হলে বিবেচনা করবেন।

শামীম আরও বলেন, ‘বরিশালের বসকে বিক্রি করার তেমন আগ্রহ নেই আমার। কারণ, আমি দেখতে চাই, গরুটি কত বড় হয়। ন্যায্য দাম পেলে বিক্রি করব, না হলে খামারে রেখে লালনপালন করব।’

আগৈলঝাড়া উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা মনিরুজ্জামান তরফদার বলেন, খামারি শামীম সিকদারের ষাঁড়টি উপজেলার সবচেয়ে বড় গরু। তা ছাড়া আশপাশের উপজেলায় এত বড় গরু আর একটিও নেই। তিনি বলেন, বিশালদেহী এই ষাঁড়টির ক্রেতা বরিশাল অঞ্চলে পাওয়া কঠিন হবে। এ জন্য তাঁরা খামারিকে ঢাকা বা চট্টগ্রামের বড় হাটে তোলার পরামর্শ দিয়েছেন।

সুত্র: প্রথম আলো

শেবাচিমের মালামাল নিয়ে পালানোর সময় দুই নারী আটক

কোন মন্তব্য নেই

বুধবার, জুন ০৮, ২০২২

বরিশাল: বরিশাল শের-ই বাংলা মেডিকেল কলেজ (শেবাচিম) হাসপাতালের এক ওয়ার্ড থেকে মালামাল চুরি করে পালানোর সময় দুই নারীকে আটক করা হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাদের আটক করেছেন হাসপাতালের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা।

আটক দুই নারী হলেন- বাবুগঞ্জের মাধবপাশা ইউনিয়নের খ্রিস্টান কলোনির মিঠু বাড়ৈর স্ত্রী হেপি বাড়ৈ (৩৫) এবং একই এলাকার লিয়ন বাড়ৈর স্ত্রী রাইসা বাড়ৈ (৩২)। চুরির ঘটনায় সম্পৃক্ত থাকার অভিযোগে এক নার্সকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। এছাড়াও ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে বলে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম জানিয়েছেন।

বরখাস্ত হওয়া নার্স হচ্ছেন- সীমা বাড়ৈ। তিনি হাসপাতালের পুরুষ সার্জারী ওয়ার্ডের ইনচার্জ।

পরিচালক সাইফুল ইসলাম জানান, দুই নারী হাসপাতালের মালামাল নিয়ে পালানোর সময় নিরাপত্তারক্ষী আনসার সদস্যরা আটক করেছেন। তাদের কাছ থেকে হাসপাতালের ৫টি কম্বল, ৫টি টিস্যু বক্স, ৫ টি এ্যাপ্রোন ও এক বান্ডিল প্লাস্টার কাপড় উদ্ধার করা হয়েছে। আটক নারীরা জিজ্ঞাসাবাদে স্বীকার করেছেন- হাসপাতালের নার্স সীমা বাড়ৈ তাদের ওই মালামাল দিয়েছেন। তবে নার্স সীমা বাড়ৈ বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাই ঘটনা তদন্তে তিন সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন না পাওয়া পর্যন্ত নার্স সীমা বাড়ৈকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।

পাথরঘাটায় মেছোবাঘ উদ্ধার

কোন মন্তব্য নেই

বরগুনার পাথরঘাটায় একটি মেছোবাঘ উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।মঙ্গলবার বেলা ১০ টার দিকে পাথরঘাটা উপজেলার পূর্ব কালমেঘা গ্রামের  চান মিয়ার বাড়ির গোয়াল ঘর থেকে বাঘটিকে উদ্ধার করা হয়। পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

পাথরঘাটা বন বিভাগের সদর বিট অফিসার মোঃ শহিদ মিয়া জানান, সোমবার রাত ১১টার দিকে কালমেঘা ইউনিয়নের চান মিয়ার গোয়াল ঘরের মধ্যে গরুর ওপর আক্রমণ করে মেছোবাঘ। এ সময় গরুর ডাকচিৎকারে লোকজন ছুটে এসে বাঘটি গোয়ালের মশাড়ির মধ্যে আটকা পড়েছে দেখতে পায়। এ সময় মাসুদ নামের এক কৃষক জাপটে ধরে শিকল দিয়ে বেঁেধ ফেলে বাঘটি। আজ বেলা ১০টার সময় সুন্দরবনের বন্যপ্রাণী সংরক্ষক বাঘবন্ধুদের মাধ্যমে বন বিভাগের লোকজন খবর পেয়ে মেছোবাঘটিকে উদ্ধার করে।

গোয়াল ঘরের মালিক চান মিয়া জানান, দীর্ঘ দিন ধরে এই বাঘটি এলাকার মানুষের হাঁস, মুরগী, গরু, ছাগল কবুতরসহ নানা ধরণের প্রানী মেরে ফেলেছে। এর ভয়ে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা রাতে ঘর থেকে বাহিরে বের হয়না। আজ অনেক কষ্টের পর ৭ ফুট লম্বা বাঘটিকে আটক করা হয়েছে। বাঘটি আটক করার সময় ৪ জন আহত হয়েছে।

পাথরঘাটা বন বিভাগের রেঞ্জ কর্মকর্তা মোঃ আবুল কালাম জানান, বাঘটি উদ্ধারের পর প্রানী অধিদপ্তরে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বিকালে পাথরঘাটার হরিণঘাটা বনে অবমুক্ত করা হয়েছে।

বরিশালে গাছে বাসের ধাক্কা, প্রাণ গেল ১১ জনের

কোন মন্তব্য নেই

রবিবার, মে ২৯, ২০২২

বরিশালের উজিরপুরে বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা লেগে ১১ জন নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় আরও ২০ জনের মতো আহত হয়েছেন। রোববার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে বরিশাল-ঢাকা মহাসড়কের উজিরপুর উপজেলার বামরাইলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- ঝালকা‌ঠি ওজলা সদ‌রের নেয়ড়ী এলাকার ম‌নির হো‌সেন হাওলাদা‌রের ছে‌লে আরাফাত হো‌সেন হাওলাদার (৯), পি‌রোজপু‌রের মঠবা‌ড়িয়া উপ‌জেলার উত্তর ভেচ‌কি এলাকার কুদ্দুস আক‌নের ছে‌লে নজরুল ইসলাম আকন (৩৫), একই উপ‌জেলার ভেচ‌কি এলাকার রা‌কিব আক‌নের স্ত্রী আ‌নোয়ারা বেগম (২০), বরগুনা জেলার বেতাগী উপ‌জেলার কা‌জিরবাদ এলাকার মোবারক আলী বেপারীর ছে‌লে হা‌লিম মিয়া (৩১), ফ‌রিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার সুতারকান্দা এলাকার মৃত আওলাদ আলীর ছে‌লে সেন্টু মোল্লা (৫০), ব‌রিশা‌লের বা‌কেরগঞ্জ উপ‌জেলার সুন্দরকা‌ঠি গ্রা‌মের মৃত আবুল কা‌শেম হাওলাদা‌রের ছে‌লে রমজান হাওলাদার (৩৮) ও ব‌রিশা‌লের উ‌জিরপুর উপ‌জেলার মুন্ডুপাশা গ্রা‌মের মনোরঞ্জন শী‌লের ছে‌লে মাধব শীল (৪৫)

বরিশাল ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট লিডার মো. জাহাঙ্গীর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ফায়ার সার্ভিসের গৌরনদী ও উজিরপুরের দুটি ইউনিট দুর্ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে উদ্ধার কাজ শুরু করেছে। এখন পর্যন্ত ১১ মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাসটি গাছের মধ্যে ঢুকে গেছে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা বাস কেটে যাত্রীদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠাচ্ছে।

উজিরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলী আর্শাদ বলেন, বাসটি ঢাকা থেকে ভান্ডারিয়ার উদ্দেশে যা‌চ্ছিল। বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার বামরাইল পৌঁছালে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে গাছের সঙ্গে ধাক্কা দেয়। এখন পর্যন্ত ১১ মরদেহ বাস কেটে বের করা হয়েছে। আহতদের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

উজিরপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ড. প্রণব রায় শুভ বলেন, এ দুর্ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১১ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া আহতরা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আমার নামেও লঞ্চঘাটে চাঁদাবাজি হয়: ব‌রিশা‌লের ডি‌সি

কোন মন্তব্য নেই

বুধবার, এপ্রিল ২০, ২০২২


পবিত্র ঈদ উল ফিতর উপলক্ষে ল‌ঞ্চে যাত্রী চলাচল নির্বিঘ্ন করতে বরিশালে জেলা প্রশাসনের আয়োজনে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সেখানে অংশ নিয়ে জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার আক্ষেপ করে বলেন,আমার না‌মেও লঞ্চঘা‌টে চাঁদাবাজি হয়।

মঙ্গলবার দুপু‌রে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে লঞ্চমালিক ও আইন শৃংখলা রক্ষাকা‌রী বাহিনীর বিভিন্ন দপ্তর প্রতিনিধিদের সাথে ওই মতবিনিময় সভায় এ কথা বলেন  ব‌রিশা‌লের ডি‌সি।

সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন জেলা প্রশাসক জসীম উদ্দীন হায়দার।

সভায় জেলা প্রশাসক বলেন, আমার নামেও লঞ্চঘাটে মালামাল পরিবহনে চাঁদাবজি করা হয়। যা ভুক্তভোগীরা মোবাইলে ধারণ করায় সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে জানতে পেরেছি। বরিশাল লঞ্চ ঘাটে যাত্রীদের পণ্য পরিবহনে যদি অতিরিক্ত অর্থ আদায় করা হয় তবে দোষীদের বিরুদ্ধে জেল জরিমানাসহ আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

জেলা প্রশাসক আরো বলেন, ঈদকে কেন্দ্র করে নৌ-দুর্ঘটনা এড়ানোসহ লঞ্চ ঘাটে যেকোন ধরনের অরাজকতা দমনে আইনশৃংখলা বাহিনীর পাশাপাশি জেলা প্রশাসনের ম্যাজিস্ট্রেটগণ নিয়মিত কাজ করবেন। ঈদকে সামনে রেখে লঞ্চের টিকিট কালোবাজারি রুখতেও কঠোর ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান জেলা প্রশাসক। তার এই পদক্ষেপে লঞ্চ মালিকরাও সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

অতিরিক্ত জেলা জেলা ম্যাজিস্ট্রেট রকিবুর রহমান খান এর সভাপতিত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) প্রশান্ত কুমার দাস, জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সুদীপ্ত সরকার, মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত উপ-কমিশনার ফজলুর রহমান, নৌ পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হুমায়ন কবীর, বিআইডবিউটিএর উপ-পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান, স্থানীয় সরকার বিভাগের সহকারী পরিচালক আরাফাত হোসেন, এনডিসি সুব্রত বিশ্বাস দাস ও কোষ্টগার্ডের প্রতিনিধিসহ ল  মালিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।

আ’লীগ নেতাকে হুমকি, চেয়ারম্যান প্রার্থীর বিরুদ্ধে প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে অভিযোগ

কোন মন্তব্য নেই

মঙ্গলবার, জানুয়ারী ০৪, ২০২২

ভোলা সদর উপজেলার ১২ নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী মুনসুর মিয়ার বিরুদ্ধে এক আওয়ামীলীগ নেতার বাড়িতে গণসৌচাগার ও তার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা স্ত্রীকে প্রভাব খাটিয়ে বদলী করে অন্যত্র পাঠিয়ে দেয়ার হুমকির অভিযোগ উঠেছে।

গতকাল  ০৩  জানুয়ারি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তোভূগী বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ,

ভোলা জেলা শাখা’র আহব্বায়ক এবং ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য মোঃশহিদুল ইসলাম তালুকদার । 

অভিযোগে তিনি উল্লেখ করেন, আমি আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক প্রত্যাশী ছিলাম। পাশাপাশি আমি বঙ্গবন্ধু পেশাজীবী লীগ, ভোলা জেলা শাখার আহবায়ক এবং ভোলা সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের নির্বাহী সদস্য। গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অন্যতম নির্বাচনী ইশতেহার  "গ্রাম হবে শহর" এই অঙ্গীকারে উদ্বুদ্ধ হয়ে একটি আধুনিক পরিচ্ছন্ন ইউনিয়ন গঠনে জনগনের চাওয়াকে প্রত্যক্ষ বাস্তবায়নে রূপ দিতেই আমি আমার মেধা মননকে প্রতিনিয়ত প্রচার প্রসারিত করছি। সরকারের উন্নয়নমূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছি। দলীয় প্রতীক প্রত্যাশী  হওয়ায়  এবং দলীয় প্রতীক বঞ্চিত হওয়ার পর থেকে আমি ও আমার কর্মী-সমর্থকগণ প্রতিপক্ষ ১২ নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান লিয়াকত হোসেন মনসুর, পিতা- মৃত সুলতান আহমদ মিয়া এবং তার পালিত সন্ত্রাসী, ইউনিয়নের চিহ্নিত মাদক কারবারি, মাদক সেবনকারীদের দ্বারা প্রতিনিয়ত  হুমকি-ধমকি, মিথ্যা মামলা সৃজন, বাড়িঘর অফিস ভাংচুরসহ বিভিন্ন হয়রানী ও হুমকির সম্মুখীন হচ্ছি। ইতোমধ্যে সে তার নির্বাচনী প্রচারণায় একাধিকবার আমাকে হত্যা, এলাকা ছাড়া করা,আমার বসতবাড়ি ও অফিস ভেঙ্গে সরকারি রাস্তা বানানো, আমার বাড়ির দরজায় গণশৌচাগার করা, আমার সহধর্মিণীকে (সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এবং সেনা মুক্তিযোদ্ধার সন্তান) ভোলা - ০১ আসনের সাংসদ জনাব তোফায়েল আহমেদ এর সুপারিশক্রমে পার্বত্য চট্রগ্রামে বদলি করা হবে বলে বহু ধরনের মানসিক নির্যাতন মূলক বক্তব্য দিয়ে আসছে। যার ভিডিও ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ছে। বর্তমানে ক্রমশই এসব দৃশ্যমান ও অসহনীয় পর্যায়ে চলছে। যাহা আপনার একান্ত সু-দৃষ্টি যোগ্য বলে মনে করছি। উপরোক্ত বিষয়ে আমি থানায় সাধারন ডায়েরি করতে গেলে কর্তৃপক্ষ বিষয়টি এড়িয়ে যায়।

এমতাবস্থায়, আমার পরিবারের নিরাপত্তা ও  ভোলা সদর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী ১২ নং উত্তর দিঘলদী ইউনিয়নে সকল ধরনের অপশক্তি কঠোর হস্তে দমনে দল ও সরকার প্রধানের কাছে একজন মুজিব আদর্শের আওয়ামী কর্মীর অসহায় প্রার্থনা যাহার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে জননেত্রীর একান্ত মর্জি হয়।

এবিষয়ে অভিযুক্ত মুনসুর মিয়ার সাথে একাধিবার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।

এ প্রসঙ্গে ভোলা সদর থানার অফিসার্স ইনচার্জ মোঃ বেলায়েত হোসেন বলেন, এধরনের অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটলে আমরা অবস্যই আইনি ব্যবস্থা নিবো, এখনো কোন অভিযোগ পাইনি পেলে বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হবে।

ভোলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো: আব্বাস উদ্দিন বলেন, অভিযোগের কপি আমি এখনো পাইনি পেলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

সুত্র: ফ্রিডমবাংলা নিউজ

 

Don't Miss
©dnn24live all rights reserved
design by khyrul islam