আসল ম্যাচেই জ্বলে উঠলেন জেমকন খুলনার তারকা খেলোয়াড়রা। শেষদিকে ঝড় তুলেছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও সাকিব আল হাসান। তাদের আগে ঝড়ো ফিফটি করেছেন জহুরুল ইসলাম অমি। গাজী গ্রুপ চট্টগ্রামের বোলারদের তুলোধুনো করে খুলনা দাঁড় করিয়েছে ৭ উইকেটে ২১০ রানের বিশাল সংগ্রহ। ম্যাচ জিতে ফাইনালের টিকিট পেতে চট্টগ্রামকে ডিঙাতে হবে পাহাড়, করতে হবে ২১১ রান।
টস হেরে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দুই ওভার দেখেশুনে খেলেন দুই ওপেনার জহুরুল ইসলাম অমি ও জাকির হাসান। তৃতীয় ওভার থেকে ঝড়ো ব্যাটিং শুরু করেন ফর্মে থাকা জহুরুল। একপ্রান্তে জহুরুল যেখানে ছিলেন আক্রমণাত্মক, সেখানে জাকির খেলেছেন রয়েসয়ে। দুজনের উদ্বোধনী জুটি ভাঙে রানআউটে। ইনিংসের দশম ওভারের দ্বিতীয় বলে খুব সহজেই দুই রান নিয়েছিলেন জাকির ও জহুরুল কিন্তু তৃতীয় রান নিতে গিয়েই বাঁধে বিপত্তি। মাহমুদুল হাসান জয়ের থ্রোয়ে সাজঘরের পথ ধরতে হয় ২২ বলে ১৬ রান করা জাকিরকে। উদ্বোধনী জুটিতে আসে ৭১ রান।
তিন নম্বরে নেমে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ব্যাটিং করেন ইমরুল কায়েস। প্রথম বলেই হাঁকান বাউন্ডারি, এক বল ডট দিয়ে পরের দুই বলে হাঁকান ছয় ও চার। অন্যদিকে জাকির আউট হওয়ার আগেই টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারে নিজের অষ্টম ও চলতি টুর্নামেন্টে দ্বিতীয় ফিফটি পূরণ করেন জহুরুল। তবে জহুরুল থেমে যান ৮০ রান করে।
এরপর মাঠে নামেন খুলনার অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। উইকেটে থাকেন মাত্র ১০ বল, যেখানে মাহমুদউল্লাহ মোকাবিলা করেন ৯টি। এই ৯ বলের মধ্যে শরীফুলকে টানা তিন বলে তিন ছক্কাসহ মোট ২ চার ও ৩ ছয়ের মারে ৩০ রান করেন মাহমুদউল্লাহ।
দলীয় ১৬৩ রানে অধিনায়ক ফিরে গেলেও শেষের ঝড়টা তোলেন সাকিব আল হাসান ও আরিফুল হক। শেষ ওভারে আউট হওয়ার আগে ৯ বলে ১৫ রান করেন আরিফুল।
শেষ ওভারটি পুরোটা করতে পারেননি মোস্তাফিজ। দুইটি বিমার করায় ৪ বল পর বোলিং থেকে সরে যেতে হয় থেকে। এ ৪ বলে খুলনা পায় ১০ রান। শেষ দুইটি বল করেন সৌম্য সরকার। উইকেটে নেমে প্রথম বলেই ছক্কা মেরে দেন মাশরাফি বিন মর্তুজা, তবে ডট হয় শেষ বলটি। খুলনার ইনিংস থামে ৭ উইকেটে ২১০ রানে। টুর্নামেন্টের তৃতীয়বারের মতো ২০০ রানের দলীয় সংগ্রহ এটি।