কুমিল্লার
মন্দিরে পবিত্র কোরআন শরীফ রেখে আসা
ব্যক্তিকে চিহ্নিত করা হয়েছে। ইতিমধ্যে
এই ব্যক্তি সন্দেহে কক্সবাজার থেকে একজনকে আটক
করা হয়েছে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত। তিনি
ইকবাল কিনা বা কে
ইকবাল এই তথ্য নিশ্চয়
আইন প্রয়োগকারী সংস্থা উদ্ধার করবে। কিন্তু ইতিমধ্যে ইকবালকে ঘিরে নানা প্রশ্ন
সৃষ্টি হয়েছে। ইকবাল একজন ভবঘুরে ছিলেন
এবং তিনি মাদকাসক্তও ছিলেন।
তিনি এলাকায় বিভিন্নভাবে ঘুরে বেড়াতেন। তাকে
একজন অপ্রকৃতস্থ মানুষ হিসেবেই এলাকাবাসীরা চিনতো। সেরকম একটি ব্যক্তি এই
কাণ্ড জেনে বুঝে করাতে
পারে এমনটি মনে করছেন না
সাধারণ মানুষ। বরং মানুষ মনে
করছে ইকবালকে কেউ ব্যবহার করেছে
দাবার ঘুটি হিসেবে। কারা
ব্যবহার করেছে সেটিই এখন তদন্তের মূল
বিষয় বলে আইন প্রয়োগকারী
সংস্থার মনে করছে।
উল্লেখ্য
যে, এই ঘটনার প্রধান
উদ্দেশ্য এখন নিশ্চিত হওয়া
গেছে। এই ঘটনা যে
ঘটানো হয়েছিল সারাদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে ধ্বংস করার জন্য এবং
সাম্প্রদায়িক পরিস্থিতিকে উত্তপ্ত করার জন্য সে
ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার
কোনো সন্দেহই নেই। কিন্তু কারা,
কেন এ ঘটনা ঘটালো
সেটি এখন তদন্তে বেরিয়ে
আসবে বলে সংশ্লিষ্টরা মনে
করছেন। শুধু ইকবাল নয়,
কুমিল্লার ঘটনার পর দেশে যেখানে
যেখানে ঘটনাগুলো ঘটানো হয়েছে, সবগুলোই পরিকল্পিত এবং একটি ভিন্নরকম
পরিস্থিতি তৈরি করার জন্যই
করা হয়েছিল বলে সংশ্লিষ্টরা মনে
করছেন। তারা বলছেন যে,
কুমিল্লার ঘটনার পরপরই যেভাবে ফেনী, নোয়াখালী, চাঁদপুর এবং রংপুরের ঘটনা
ঘটানো হলো তাতে বুঝা
যায় এটির পিছনে একটি
সুনির্দিষ্ট সিন্ডিকেট কাজ করেছে, যারা
একটি ঘটনার পর সারাদেশে এ
ঘটনা ঘটনার জন্য কাজ করেছেন।
তবে ইকবালকে কারা নিযুক্ত করেছে,
কাদের পরামর্শে বা কাদের দ্বারা
ইকবাল প্ররোচিত হয়েছে সেটি এখন এই
ঘটনার রহস্য উন্মোচনের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন বলে
সংশ্লিষ্টরা মনে করছেন।
ধারণা
করা হয়েছে যে, যে মহলটি
দেশের শারদীয় দুর্গা উৎসবের সময় সাম্প্রদায়িক অশান্তি
তৈরি করার চেষ্টা করেছিল,
যে অংশটি বাংলাদেশে একটি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি
বিনষ্টের চেষ্টা করেছিল, তারাই ইকবালকে ব্যবহার করেছে। এ ধরণের কাজে,
এ ধরণের ব্যক্তিকে ব্যবহার করা খুবই সহজ।
কারণ ইকবাল মানসিকভাবে কিছুটা অসুস্থ ছিল। তিনি মাদকাসক্ত
ছিলেন। কাজেই তাকে কোনো কিছুর
লোভ দেখিয়ে সহজে ব্যবহার করা
যায়। এমনকি ইকবালের মা বলেছেন যে
তাকে তাকে খাবারের লোভ
দেখিয়ে যেকোনো জিনিস করানো যেতো। এরকম পরিস্থিতিতে ইকবাল
যদি সত্য কথা বলে
এবং কারা তাকে ব্যবহার
করেছে সেই তথ্যটি প্রকাশ
করে তাহলেই এই ঘটনার সব
রহস্য বেরিয়ে যাবে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা
মনে করছেন যে, ইকবাল নিজেই
একা একা কোনো কারণ
ছাড়া একটি মন্দিরে গিয়ে
পবিত্র কোরআন শরীফে রেখে আসবে এটা
হতে পারে না। তাকে
পরিকল্পিতভাবে কেউ ব্যবহার করেছে।
কারা ব্যবহার করেছে সেটাই এখন খুঁজে বের
করাটা জরুরি বলে সংশ্লিষ্টরা মনে
করছেন।
সুত্র:
বাংলাইনসাইডার