ডিমওয়ালা মা ইলিশ সংরক্ষণে ৪ অক্টোবর থেকে ২৫ অক্টোবর ২২ দিনের সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলাকালে ‘ইলিশ মাছ ধরবো না, ইলিশ মাছ খাবো না’ মর্মে অঙ্গীকার করা হয়েছে। রোববার দুপুরে প্রজননক্ষম ইলিশ রক্ষায় উপজেলা টাস্কফোর্স কমিটির জনসচেতনতামূলক সভায় এ অঙ্গীকার করেন মৎস্যজীবী ও জেলেসহ ইলিশের ক্রেতা-বিক্রেতারা। নিষেধাজ্ঞার সময় ইলিশের ক্রেতা ও ভোক্তারাও ইলিশ মাছ কিনবেন না কিংবা খাবেন না মর্মে অঙ্গীকার করেন। উপজেলা প্রশাসন ও মৎস্য দপ্তরের আয়োজনে উপজেলা অডিটোরিয়ামে জেলে, মৎস্যজীবী ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার সুধীজনদের নিয়ে অনুষ্ঠিত এক প্রস্তুতি ও সচেতনতামূলক সভায় এসব অঙ্গীকার করান বাবুগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আমীনুল ইসলাম।
ইউএনওর সভাপতিত্বে টাস্কফোর্স কমিটির ওই সভায় এসময় বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ আজাদ, সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিজানুর রহমান, সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান, বাবুগঞ্জ থানার ওসি মাহবুবুর রহমান, কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা শাহ আরিফুল ইসলাম, এয়ারপোর্ট থানার এসআই ইলিয়াস হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক কমান্ডার আনিসুর রহমান সিকদার, মাধবপাশা ইউপি চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমান, বিমানবন্দর প্রেসক্লাব সভাপতি আরিফ আহমেদ মুন্না, ছাত্রলীগ সম্পাদক গোলাম কিবরিয়া, মৎস্যজীবী সমিতির সভাপতি শাহজাহান বেপারী, ছাত্রলীগ নেতা প্রসেনজিৎ দাস অপু প্রমুখ।
সভায় বাবুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ আজাদ বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার ২২ দিনে মা ইলিশ শিকারের জন্য নিয়মিত জেলেদের পাশাপাশি বিভিন্ন এলাকার বেশকিছু মৌসুমী জেলে তৈরি হয়েছে। নদীতে ইলিশ শিকারের জন্য এরা গোপনে বিপুল কারেন্ট জালসহ শতাধিক নৌকা নিয়ে প্রস্তুত হয়েছে। এদের প্রতিহত করা জরুরি।’
উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মোঃ আমীনুল ইসলাম ইলিশ নিধনকারী অসাধু চক্রের বিরুদ্ধে হুশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, ‘যারা আইন অমান্য করে নদীতে মা ইলিশ শিকারে নামবেন তাদের প্রতি বিন্দুমাত্র সহানুভূতি দেখানো হবে না। জাতীয় সম্পদ রক্ষায় প্রয়োজন গুলি চালাতে হলেও পিছু হটবে না প্রশাসন। আমাদের কঠোর হতে কেউ বাধ্য করবেন না। একদিকে সরকারি সহায়তা নেবেন, আরেকদিকে ইলিশ নিধন উৎসবে নামবেন, তা কিছুতেই সহ্য করা হবে না।’
বাবুগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহবুবুর রহমান হুশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘অতীতের মতো নদীতে চোর-পুলিশ খেলার কথা ভুলে যান। এবার স্পিডবোট নিয়ে অভিযানে থাকবে পুলিশ। ইলিশ শিকারে যাকে পাওয়া যাবে তিনি যত ক্ষমতাশালীই হোক তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। অপরাধী আটকের পরে যে তদবির করতে আসবে তাকেও আইনের আওতায় আনা হবে।’
উপজেলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা মোঃ সাইদুজ্জামান বলেন, ‘বাবুগঞ্জ উপজেলার ৩ নদীর প্রায় ৬০ কিলোমিটার জলসীমায় মা ইলিশ রক্ষায় ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। ইতোমধ্যে নদী তীরবর্তী ১০টি স্পটে স্থানীয় জেলে, মৎস্যজীবী ও সুধীজনদের নিয়ে ১০টি জনসচেতনতামূলক সভা করা হয়েছে। মা ইলিশ রক্ষায় উপজেলা মৎস্য দপ্তর বদ্ধপরিকর।’
The post বাবুগঞ্জে মা ইলিশ রক্ষায় প্রস্তুতি সভা first appeared on Barishal Times | বরিশালটাইমস.
from বরিশালের খবর | Barishal Times | বরিশালটাইমস https://ift.tt/3oqCaAo