বিএনপির
সাংসদ হারুনুর রশীদ ইউনিয়ন পরিষদ
(ইউপি) নির্বাচনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিপুলসংখ্যক প্রার্থীর
নির্বাচিত হওয়া নিয়ে প্রশ্ন
তুলেছেন।
তিনি
বলেছেন, তাহলে নির্বাচনের নামে প্রহসন, হানাহানি
ও খুনোখুনির দরকার কী।
স্বাধীনতার
সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের বিশেষ আলোচনায় অংশ নিয়ে হারুনুর
রশীদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্দেশে
এ প্রশ্ন রাখেন। সংসদ নেতা শেখ
হাসিনা এ সময় অধিবেশন
কক্ষে উপস্থিত ছিলেন।
জনপ্রিয়
একটি গানের কথা উদ্ধৃত করে
হারুন তার বক্তব্য দেওয়া
শুরু করেন। তিনি বলেন, ‘কী
দেখার কথা, কী দেখছি?
কী শোনার কথা কী শুনছি?
কী ভাবার কথা, কী ভাবছি?
কী বলার কথা, কী
বলছি? ৫০ বছর পরেও
আমি স্বাধীনতাটাকে খুঁজছি।’
হারুনুর
রশীদ বলেন, সংবিধানে বলা আছে স্থানীয়
প্রতিনিধিরা হবেন নির্বাচিত। চলমান
ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে এখন পর্যন্ত তিন-চার শ চেয়ারম্যান
বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। তাদের কে নির্বাচিত করল?
তারা কীভাবে দায়িত্ব পালন করবেন?
এ
ব্যাপারে তিনি স্পিকারেরও দৃষ্টি
আকর্ষণ করেন। হারুন বলেন, আমি আপনার কাছে
জানতে চাই, আজকে যারা
বিনা ভোটে নির্বাচিত, নির্বাচন
কমিশন যাদের নির্বাচিত ঘোষণা করেছে, তাদের আমি কী বলব?
অনির্বাচিত, না নির্বাচিত? তারা
তো নিশ্চয়ই বিনা ভোটে নির্বাচিত।
হারুন
অভিযোগ করেন, তার এলাকায় পৌরসভা
নির্বাচন সামনে রেখে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের
কার্যালয় উড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দেশে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী
বাহিনী কী কাজ করে?
তাদের দায়িত্ব কী?
বিএনপির
এই সাংসদ আরও বলেন, ৫০
বছরে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট আলাপ-আলোচনার
মাধ্যমে মীমাংসা হয়নি। এক পক্ষের পরাজয়ের
মধ্য দিয়ে অন্য পক্ষ
জয়ী হয়েছে। ভবিষ্যতে কী হবে, তিনি
জানেন না। সত্যিকার অর্থে
জাতি আজ বিরাট সংকটে।
বিএনপির
অসুস্থ চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য পাঠানোর অনুমতি
দিতে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি আহ্বান জানান হারুন। তিনি বলেন, ‘আমি
সংসদ নেতার সঙ্গে বহুবার কথা বলেছি। আমি
অনুরোধ করেছি যে দেখেন, ওনার
যে শারীরিক অবস্থা, ওনাকে বিদেশে চিকিৎসার জন্য নিতে অনুমতি
দিতে আপনার অসুবিধা কোথায়? আপনি তাকে বিদেশে
চিকিৎসার সুযোগটি দিন।
এতে
আপনি সম্মানিত হবেন। তার যে বয়স,
যে অবস্থা, এ অবস্থায় এটা
বিবেচনা করা উচিত।