মহান বিজয় দিবস ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সর্বোচ্চ সম্মান জানাতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধকে প্রস্তুত করা হয়েছে।
জাতীয় স্মৃতিসৌধে গত কয়েকদিন ধরে নিয়মিত চলছে ৩ বাহিনীর সদস্যদের কুচকাওয়াজের প্রস্তুতি ও মোটরসাইকেল মহড়া।
গত বছর ২৬ মার্চ স্বাধীনতা দিবস ও ১৬ ডিসেম্বরে বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসতে পারেননি রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিরা।
তবে এ বছর রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীসহ ভারতের রাষ্ট্রপতিও স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে আসবেন বলে জানা গেছে।
এ দিকে, আজ ১৫ ডিসেম্বর বন্ধু-প্রতিম ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
গণপূর্ত বিভাগের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা গেছে, বিজয় দিবস উদযাপন ও বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে গত ১ মাস ধরেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতাসহ লাল-সবুজের চিত্র ধরে সৌধ চত্বর সাজানো হয়েছে। শুধু তাই নয়, নিরাপত্তায় নজরদারি জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
স্মৃতিসৌধের প্রধান ফটক ও দ্বিতীয় ফটকের সামনে সড়কের ডিভাইডারের রং করা হয়েছে। ফটকগুলোর ভেতরে জীবাণু নাশক স্প্রে ব্যবহার করা হচ্ছে।
স্মৃতিসৌধের ভেতরে দেখা গেছে নানা রঙয়ের আলোকসজ্জার বাতি, গাছের নতুন টব। পরিষ্কার করা হচ্ছে পুরো জায়গা। এ ছাড়া, চার দিকে রয়েছে কয়েক শ সিসিটিভি ক্যামেরা।
ধোয়া-মোছার কাজ শেষ করে রঙের কাজ করছেন আল আমিনসহ আরও কয়েকজন। আল আমিন দ্য ডেইলি স্টারকে বলেন, 'পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকা পরিষ্কার-পরিছন্ন করা হয়েছে। রং দেওয়ার কাজও প্রায় শেষ। প্রতি বছর ১৬ ডিসেম্বর ও ২৬ মার্চ আমরা পরিচ্ছন্নতাসহ ফুল গাছ লাগানোর কাজ করে থাকি। শেষ মুহূর্তের টুকটাক কাজ চলছে।'
গণপূর্ত বিভাগের উপসহকারী প্রকৌশলী মিজানুর রহমান বলেন, 'বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে গত ২ মাস ধরে সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধে পরিচ্ছন্নতার কাজ চলছে। ফুল দিয়ে সাজানো, লেক সংস্কার, সিসি ক্যামেরা স্থাপনসহ সব কাজ পুরোপুরি শেষ।'
'রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য জাতীয় স্মৃতিসৌধ প্রস্তুত আছে' উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, '২ দিন আগেই আমরা সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি।'
ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) মারুফ হোসেন সরদার বলেন, 'নিরাপত্তার জন্য এবার স্মৃতিসৌধ এলাকায় বিভিন্ন পয়েন্টে সিসিটিভি ক্যামেরা যুক্ত করা হয়েছে।'
'এ ছাড়া নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা রয়েছেন। গত ১ ডিসেম্বর থেকে পুরো স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা বিজয় উদযাপন নির্বিঘ্ন করতে কাজ করে যাচ্ছেন,' যোগ করেন তিনি।