Responsive Ad Slot

Weather - Tutiempo.net
Lead News লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Lead News লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

টেনিস কোর্টে ঝালকাঠির দুই রানীর জয়জয়কার

কোন মন্তব্য নেই

শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০২৫


ঝালকাঠি: বাংলাদেশের টেনিস অঙ্গনে নতুন আশার আলো হয়ে উঠছে ঝালকাঠির দুই টেনিস কন্যা সুস্মিতা সেন সুমাইয়া আক্তার। সম্প্রতি অনুষ্ঠিত মিউচুয়াল ট্রাস্ট ব্যাংক টেনিস টুর্নামেন্টে তারা নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করে দেশের টেনিসে নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে।

গত জুলাই বাংলাদেশ টেনিস ফেডারেশন ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসনের ব্যবস্থাপনায় আয়োজিত এই টুর্নামেন্টের ফাইনালে মেয়েদের দ্বৈত প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হন সুস্মিতা সেন সুমাইয়া আক্তার। এছাড়া একক ইভেন্টে সুমাইয়া আক্তার চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেন। খেলা শেষে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুফিদুল আলম প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। তাদের কোচ হিসেবে সাথে ছিলেন জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল।

গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে ঝালকাঠির জেলা প্রশাসক আশরাফুর রহমান দুই টেনিস তারকার সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। জেলা প্রশাসক তাদের সাফল্যের জন্য শুভকামনা জানান এবং দেশের জন্য আরও সাফল্য বয়ে আনার আহ্বান জানান।

পাকিস্তানে অনুষ্ঠিতব্য আগামী এস গেমসে বাংলাদেশের পক্ষে অংশ নেবেন সুস্মিতা সেন সুমাইয়া আক্তার। ইতিমধ্যেই তারা বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর পক্ষে বিভিন্ন টুর্নামেন্টে অংশগ্রহণের জন্য চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন। তাদের এই অর্জন শুধু ঝালকাঠি নয়, বরং পুরো বাংলাদেশের জন্য গর্বের বিষয়।

টেনিস কোচ জাহাঙ্গীর হোসেন বাবুল জানিয়েছেন, এই দুই টেনিস কন্যা নিয়মিত অনুশীলন কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে দেশের টেনিস অঙ্গনকে বিশ্ব দরবারে তুলে ধরার লক্ষ্যে এগিয়ে যাচ্ছে। তিনি দেশবাসীর কাছে তাদের জন্য দোয়া শুভকামনা কামনা করেন।

ঝালকাঠির এই দুই টেনিস তারকার সাফল্যে জেলার ক্রীড়ামোদী মানুষ শিক্ষার্থীদের মধ্যে আনন্দের বন্যা বইছে। নতুন প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্য তারা অনুপ্রেরণার নাম হয়ে উঠছে। এই দুই টেনিস রানীর হাত ধরেই বাংলাদেশের টেনিস অঙ্গন আরও সমৃদ্ধ হবে প্রত্যাশা সকলের।

মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার দাবি

কোন মন্তব্য নেই

শুক্রবার, আগস্ট ২০, ২০২১


বরিশালের ঘটনায় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পুরো বরিশাল বিভাগ মেয়রের অত্যাচারে ওষ্ঠাগত বলে অভিযোগ করে তার গ্রেপ্তার দাবিও জানানো হয়েছে।

 

সংগঠনের এক জরুরি সভা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দাবি জানানো হয়েছে।

 

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনােয়ার।

 

সভায় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে বুধবার রাতে সংঘটিত ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা হয়।

 

সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মােকাবিলা করা হবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বরিশালের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে একজন নির্বাহী কর্মকর্তা কীভাবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের দ্বারা হেনস্থা হয়েছেন। তার বাসায় হামলা করা হয়, যেখানে তার করােনা আক্রান্ত অসুস্থ বাবা-মা ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই ওই কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করা হয়েছে। তার বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তার চামড়া তুলে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটি করপােরেশনের কর্মচারীদের দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তারা পুরো জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।

 

এমন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডনিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসােসিয়েশন।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়রের অত্যাচারে বরিশালবাসী অতিষ্ঠ। মেয়রের হুকুমেই এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে অ্যাসােসিয়েশন মনে করে। অ্যাসােসিয়েশন অবিলম্বে তার গ্রেপ্তার দাবি করছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অত্যন্ত আস্থাবান। তার দেশপ্রেমের চেতনা ধারণ করে সবাই কাজ করছে। আমরা দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকব, একই সঙ্গে এসব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তকে আইনের মাধ্যমেই মােকাবিলা করব।

 

আইনের শাসনের মাধ্যমে স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর যে অভিপ্রায় সে ব্যাপারে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ এবং কোন পরিস্থিতিতেই তারা সেই পথ থেকে বিচ্যুত হবে না।

Dengue Update: করোনা আবহে এবার ডেঙ্গু নিয়ে আগাম সতর্ক

কোন মন্তব্য নেই


দিনের পর দিন বিপজ্জনক উঠছে ডেঙ্গু। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের এই সংক্রমণের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় চিন্তিত সবাই। দেশে গত জুলাই থেকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গুজ্বর। আগস্টে এসে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত জুলাই মাসে মারা গেছে ১২ জন, আগস্টে পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অবস্থায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করে আগাম সতর্কে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা মহামারীর মধ্যেও প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭০ জন। এর মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি ২৪০ জন, বাকিরা রাজধানীর বাইরে সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন হাজার ২৩৮ জন, এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি আছেন হাজার ১৪৫ জন। বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে জুলাইতে ১২ জন, আগস্টে ১৯ জন।

করোনা রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এর মধ্যে নতুন দুশ্চিন্তা হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকেও চলছে চিকিৎসা। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোতেও রোগী সংকুলান হওয়া কঠিন হয়ে উঠছে। গতকাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩৭ জন, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে হাজার ১০৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩০৪ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতজন, বিএসএমএমইউ-তে ৯৩ জন, পুলিশ হাসপাতালে একজন, বিজিবি হাসপাতালে নয়জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৬৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আটজন। ঢাকার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন হাজার ৮২৯ জন, বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন হাজার জন।

শিশুদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক শফি আহমেদ বলেন, ‘শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন প্রায় ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু ফিভার ডেঙ্গু শক সিনড্রোম নিয়ে অনেক শিশু আসছে।

শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের চেয়ে ডেঙ্গু বেশি বিপজ্জনক। করোনায় শিশুদের মাইল্ড সিম্পটম হয় এবং তাদের ঝুঁকিটা কম থাকে। কিন্তু ডেঙ্গু শিশুরা অনেক ঝুঁকিতে থাকে। শিশুদের শরীরে কামড়াতে মশার সুবিধা হয়। প্রায় বিনা বাধায় শিশুর পাতলা চামড়া ভেদ করে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা কামড়ায়। মশার কামড় থেকে বাঁচাতে মশারির পাশাপাশি ক্রিম রিপেলেন্ট মাখানো যেতে পারে।’  অনেক রোগী ডেঙ্গুর পাশাপাশি একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জ্বরের সঙ্গে শরীরে প্রচ- ব্যথা থাকলে অবশ্যই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা টেস্ট করে দেখতে হবে। সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় সবাইকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেকে একই সময়ে দুই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের উচিত হবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা।

ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজেদের সুস্থতার জন্য সবাই মিলে, ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কারস্লোগানটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

Don't Miss
©dnn24live all rights reserved
design by khyrul islam