ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলায় শিক্ষক জামাল হোসাইন কর্তৃক স্ত্রীকে মারপিট করে ঘরে তালাবদ্ধ করে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত মঙ্গলবার এ ঘটনার ৩ দিন পর ভুক্তভোগীর মা-বাবা ও পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ভর্তি করেন।
গতকাল
বুধবার দুপুরে ভুক্তভোগীর স্বজনরা জানান, গত ১৩ বছর পূর্বে ওই ভুক্তভোগী নারীর সঙ্গে
পার্শ্ববর্তী বামনা উপজেলার সারোয়ারজান পাইলট উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক
ও খোলপটুয়া গ্রামের জামাল হোসাইনের বিয়ে হয়। জামাল নিজ বাড়ি থেকে টাকা আনার জন্য মাসুদাকে
প্রায়ই শারীরিক নির্যাতন করত।
ভুক্তভোগীর
স্বজন আরও বলেন, ইতিপূর্বে স্বামী জামাল হোসাইনকে ১০ / ১২ লাখ টাকা যৌতুক দেওয়া হয়েছে।
আরও যৌতুক আনার জন্য গত শনিবার স্ত্রী মাসুদাকে বেধড়ক মারপিট করেন ওই শিক্ষক। গোপন
অঙ্গসহ বিভিন্ন স্থানে আঘাত করেন। পরে তাঁকে ঘরের একটি কক্ষে তালা বদ্ধ করে রাখেন জামাল।
খবর পেয়ে সোমবার রাতে ভুক্তভোগীর মা-বাবাসহ পরিবারের সদস্যরা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে
ভর্তি করেন। বর্তমানে ওই তিনি কাঠালিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার মো. মিজানুর
রহমানের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।
উপজেলা
স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের (আমুয়া) আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো. মিজানুর রহমান জানান,
ওই নারীকে আহত হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তাঁর শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
আমরা তাঁকে চিকিৎসা দিচ্ছি।
অভিযুক্ত
শিক্ষক জামাল হোসাইন জানান, ‘এটা আমার বিরুদ্ধে একটি চক্রান্ত এবং মিথ্যা অপবাদ দেওয়া
হচ্ছে। আমার স্ত্রীর অন্যান্য বোন এবং ভাইদের নিয়ে এ রকম ঘটনা অনেক আছে। আপনারা ইচ্ছা
করলে বামনা ও বরগুনা সাংবাদিকদের কাছে খোঁজ নিতে পারেন। এ বিষয় বরগুনার সাংবাদিক মোশারেফের
কাছে জানতে পারেন।’
কাঠালিয়া
থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সুফল চন্দ্র গোলদার জানান, এ ব্যাপারে আমি কোন অভিযোগ পাইনি।
তবে কেউ অভিযোগ বা মামলা দিলে মামলা নিয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সুত্র:
আজকের পত্রিকা