সপ্তাহ
যাবৎ কোন চিকিৎসক না
থাকায় চরম দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে ঝালকাঠির কাঠালিয়া উপজেলা সদরের রোগী ও স্বজনদের। ডাক্তার শূন্যতায় চিকিৎসা
সেবার চরম বিপর্যায় ঘটতে পারে মনে
করছেন স্থানীয়রা। ক্ষতির ছাপ ফেলতে পারে হিন্দু
সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব
দুর্গা পূজায়ও। ডাঃ দিলীপ শুন্য কাঠালিয়াবাসী এখন চিকিৎসা বঞ্চিত।
যানাযায়,
ব্যাক্তিগত প্রয়োজনে গত
০৪ অক্টোবর ২০২১ থেকে এখানকার
শত শত রোগী চিকিৎসা সেবার একমাত্র
ভরসা ভারতে অবস্থান করছেন। তার ভারতে যাওয়াকে কেন্দ্রকরে রোগীদের ভাগ্যে এখন
টানাপোড়ন চলছে। বন্ধ রয়েছে সদরে ডাঃ
দিলীপ চন্দ্র হাওলাদার পরিচালিত দু’টি চেম্বার ও
একটি ডায়াগনিস্টিক সেন্টার। তাই প্রতিদিন শতশত রোগীর চিকিৎসা,
পরামর্শ ও পরীক্ষা নিরীক্ষার
হচ্ছে না। ফলে ডাক্তার দিলীপ
চন্দ্র নির্ভরশীল রোগী ও স্বজনরা
বিপাকে পড়েছেন। বিশেষ করে গর্ভবর্তী মা
ও শিশু, বয়স্ক রোগী, ছোট-খাটো অপারেশনের
রোগীরা।
অপরদিকে
লাইফ কেয়ার ডায়াগনিস্টিক সেন্টারের চিকিৎসক ডাঃ সুজিত বৈদ্য
বেশকদিন যাবৎ তার নিজ
বাড়ী গোপালগঞ্জে অবস্থান করছেন। সেখান থেকেও রোগীরা স্বাস্থ্য সেবা থেকে বঞ্চিত
হচ্ছেন। সব মিলিয়ে পুরো
কাঠালিয়া উপজেলায় গত এক সপ্তাহ
যাবৎ চিকিৎসক শূন্য হয়ে পড়েছে। ফলে এখানকার সাধারণ মানুষের মধ্যে চরম ক্ষোভ ও
হতাশা দেখা দিয়েছে।
কাঠালিয়ায়
ডাক্তার না পেয়ে দিশেহারা ভাইয়ের
অসুস্থ বোন সর্মীকে
চিকিৎসার জন্য পার্শবর্তী ভান্ডারিয়া উপজেলায় নিতে হয়েছে। কিন্তু যাতায়ত ব্যবস্থা খারাপ থাকায় প্রচন্ড কষ্ট
হচ্ছে বলছিলেন আওরাবুনিয়া গ্রামের
মোসাদ্দেক বিল্লাহ।
ব্যবসায়ীয়
দিপু শীল জানান, আমার
স্ত্রীর গাইনী সমস্যা নিয়ে ৯ অক্টোবর
ডাক্তারের কাছে আসলে ডাক্তার
না পাওয়ায় বরিশাল যেতে হয়েছে।
চেঁচরীরামপুর
ইউনিয়নের জাকিয়া জানান, আমার সন্তান নিয়ে
ডাক্তার দিলীপ চন্দ্র হাওলাদারের কাছে আসলে তার
চেম্বার বন্ধ পাই। পরে
ভান্ডারিয়ায় চিকিৎসা করাই।
কাঠালিয়া
বাসস্ট্যান্ড এলাকার ফার্মাসিষ্ট মোঃ এনায়েত হোসেন
জানান, গত এক সপ্তাহ
যাবৎ কাঠালিয়ায় কোন এমবিবিএস চিকিৎসক
না থাকায় রোগীরা আমাদের কাছে ব্যবস্থাপত্র ছাড়া
ঔষুধ কিন্তে আসেন। এ অবস্থায় আমরা
ঔষুধ বিক্রি করতে ব্যর্থ হচ্ছি।
হিন্দু
ধর্মালম্বীদের দুর্গা পূজা, বৈরী আবহাওয়া ও
জনসমাগমের কারনে বিভিন্ন ধরনের রোগ ছড়িয়ে পড়ার
আশংকায় স্থানীয় স্বাস্থ্য বিভাগের দৃষ্টি আকর্শন করছেন এলাকাবাসী।
এ
বিষয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স (আমুয়া) কাঠালিয়ার আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ মিজানুর রহমান
জানান, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে (আমুয়া) ডাক্তার কম থাকায় কাঠালিয়া
সদর ইউনিয়ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রে এমবিবিএস চিকিৎসকা দেয়া সম্ভব নয়।
এ উপ-কেন্দ্রে দুইজন
উপ-সহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার আছেন তারাই রোগীদের
চিকিৎসা দিবেন।