Responsive Ad Slot

Weather - Tutiempo.net

Latest

latest

৭১'র এই দিনে বরিশাল অঞ্চল রাজাপুরের আকাশে ওড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা

বুধবার, নভেম্বর ২৩, ২০২২

/ by DNN24LIVE

মুক্তিযোদ্ধা দেনছের আলী বলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালীন রাজাপুর উপজেলার থানা ঘাটের বধ্যভূমিতে ৭০০-৮০০ নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয় সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমরের বাড়ির সামনের বধ্যভূমিতে হত্যা করা হয় আরও প্রায় ২০০ লোক


ঝালকাঠির রাজাপুর পাকহানাদার মুক্ত দিবস ২৩ নভেম্বর। ৭১'র এই দিনে বরিশাল অঞ্চলে সর্বপ্রথম পাক হানাদার মুক্ত হয় রাজাপুর থানা। বৃহত্তর বরিশালের রাজাপুরের আকাশে ওড়ে প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশের পতাকা।

মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সালের ১৪ নভেম্বরের পর সারাদেশের ন্যায় রাজাপুরে মুক্তিযুদ্ধ আরো তীব্র হয়। দেশীয় দোসরদের সহায়তায় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী সাধারণ নিরীহ জনগণকে ধরে এনে বধ্যভূমি সংলগ্ন নদীর ঘাটে বেঁধে গুলি করে লাশ নদীতে ফেলে দেয়। লাশের গন্ধে ভারী হয়ে ওঠে আকাশ-বাতাস।

মুক্তিযোদ্ধা দুলাল সাহা বলেন, ১৯৭১ সালের ২২ নভেম্বর সন্ধ্যা থেকে মুক্তিযোদ্ধারা পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমন চালায়, শুরু হয় পাল্টাপাল্টি গুলি। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীদের সঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের রাতভর যুদ্ধের পরে হানাদার বাহিনী মুক্তিযোদ্ধাদের কাছে ২৩ নভেম্বর সকালের দিকে আত্মসমর্পণ করতে বাধ্য হয়। এ অঞ্চলে সম্মুখ যুদ্ধে শহিদ হয়েছিলেন আব্দুর রাজ্জাক ও হোসেন আলী নামে দুই মুক্তিযোদ্ধা। আহত হন কমপক্ষে ২০ জন ।

মুক্তিযোদ্ধা সত্যবান সেন বলেন, ‘স্বাধীনতা সংগ্রাম চলাকালে সারা দেশকে ১১ টি সেক্টরে বিভক্ত করা হয়। রাজাপুর থানা ছিল বরিশাল সাব সেক্টরের অধীনে। সাব সেক্টরের দায়িত্ব পালন করেন ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ শাহজাহান ওমর। উপজেলার কানুদাসকাঠিতে তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ঘাঁটি তৈরি করেন। রাজাপুর থানায় সম্মুখ যুদ্ধ শুরু হলে তিনিও এ যুদ্ধে অংশ নেন এবং সেদিন গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন। মুক্তিযুদ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য শাহজাহান ওমর বীর উত্তম খেতাবে ভূষিত হন।’

মুক্তিযোদ্ধা দেনছের আলী বলেন, ‘যুদ্ধ চলাকালীন রাজাপুর উপজেলার থানা ঘাটের বধ্যভূমিতে প্রায় ৭০০ থেকে ৮০০ নিরীহ বাঙালিকে হত্যা করা হয়। সাব সেক্টর কমান্ডার ক্যাপ্টেন শাহজাহান ওমরের বাড়ির সামনের বধ্যভূমিতে হত্যা করা হয় আরও প্রায় ২০০ লোক।’

সুত্র: নিউজবাংলা

Don't Miss
©dnn24live all rights reserved
design by khyrul islam