বরিশালে
ইলিশ রক্ষার লক্ষে গত ৪ অক্টোবর
থেকে শুরু হওয়া অভিযান
শেষ হয়েছে ২৫ অক্টোবর মধ্যরাতে।
টানা ২২ দিনের এ
অভিযানে বরিশাল বিভাগে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জেলেদের মধ্যে
দুই একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা
ছাড়া সকল অভিযান সফলভাবে
সম্পন্ন হয়েছে। ফলে দেশে ইলিশের
উৎপাদন বাড়বে বলে আশাবাদি বরিশাল
মৎস্য বিভাগ।
বরিশাল
মৎস্য ভবন সূত্রে জানা
গেছে, গত ২২ দিনে
বিভাগে মোট অভিযান পরিচালিত
হয় ২ হাজার ৬৫১
টি। এর অনুকূলে মোবাইল
কোর্টে ৮৯৯ জনের কারাদণ্ড
হয়েছে। জব্দ করা হয়েছে
১২ লাখ ৯২ হাজার
দশমিক ৬৪৯ টাকার কারেন্ট
জাল এবং ৯ দশমিক
৩৭৯ টন ইলিশ।
অভিযানে
উপকূলীয় এলাকার তুলনায় বরিশাল নদী অঞ্চলে এবার
বেশি জেলের কারাদণ্ড হয়েছে। গত ২২ দিনে
৬৮০ জনের কারাদণ্ড হয়েছে।
সূত্র
আরও জানা যায়, বিভাগে
২২ দিনে ভ্রাম্যমাণ আদালত
ও অভিযান পরিচালনা কালে ৫২৮টি অবতরণ
কেন্দ্র, ৩ হাজার ৯১০টি
মাছঘাট, ৭ হাজার ২৯৫টি
আড়ত, ৬ হাজার ১৮৫টি
বাজার পরিদর্শন করা হয়। মামলা
হয়েছে ৭৮১ টি। জরিমানা
করা হয়েছে ২২ দশমিক ৯১৩
লাখ টাকা। নিলামকৃত আয় হয়েছে দশমিক
৩ দশমিক ১১৯৬ লাখ টাকা।
এদিকে,
সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী ২২ দিন ইলিশ
আহরণ, পরিবহন, মজুদ, বাজারজাতকরণ, ক্রয়-বিক্রয় ও
বিনিময় নিষিদ্ধ ছিল। এ নির্দেশনা
অমান্য করায় নেওয়া হয়েছে
আইনি ব্যবস্থা। নিষেধাজ্ঞার এ সময়কে ঘিরে
বিভাগের ৬ জেলার জেলে
পরিবারের জন্য ৬ হাজার
৯৪২ দশমিক ৪৮ মেট্রিক টন
ভিজিএফের চাল বরাদ্দ দেওয়া
হয়েছে। ফলে প্রতি পরিবার
২০ কেজি করে চাল
পায়।
মৎস্য
অধিদপ্তর বরিশাল বিভাগের উপ-পরিচালক আনিছুর
রহমান তালুকদার জানান, সফলভাবে এবারের মা ইলিশ রক্ষা
অভিযান শেষ হচ্ছে সোমবার
রাত ১২টায়। আশা করা হচ্ছে
এরপর জেলেরা নদীতে গেলে আশানুরূপ ইলিশ
পাবেন।
উল্লেখ্য,
গত বছর ১৪ অক্টোবর
থেকে ৪ নভেম্বর ইলিশ
ধরার নিষিদ্ধ সময়ে প্রশাসন মোবাইল
কোর্ট পরিচালনা করেছে ১ হাজার ২৬টি,
অভিযান পরিচালনা করেছে ২ হাজার ৫০৫টি,
আইন না মানায় মামলা
করা হয় ১ হাজার
২৪৯টি, কারাগারে পাঠানো হয়েছে ১ হাজার ১৩৩
জনকে এবং জরিমানা করা
হয় ২০ লাখ ৮২
হাজার টাকা।