কলেজছাত্রী লাকী আক্তারের বয়স সবেমাত্র ১৬ বছর। এই বয়সে শিক্ষায় মনযোগী হওয়ার পাশাপাশি নিজের জীবনকে সাজিয়ে নেওয়ার চিন্তায় সময় পাড় করার কথা থাকলেও ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে তাকে গুণতে হচ্ছে মৃত্যুর প্রহর। দুটি কিডনি বিকল হয়ে যাওয়ায় তাকে ছুটতে হচ্ছে একের পর এক হাসপাতালে। অসুস্থতার ৪ বছর ধরে চিকিৎসা সেবা দিতে গিয়ে লাকীর দরিদ্র পরিবার একবারে নিস্ব হয়ে পড়েছে। কিন্তু তারপরেও বেঁচে থাকার ইচ্ছায় কলেজছাত্রী এবার প্রধানমন্ত্রীসহ দেশের বিত্তবানদের সহযোগিতা কামনা করেছে। বরিশালের বাবুগঞ্জ উপজেলার চর উত্তর ভূতের দিয়া গ্রামের এই কিশোরী নিজের জীবন বাঁচানোর জন্য সহযোগিতা চেয়ে রোববার রাতে ফেসবুক পোস্ট করেন।
বাবুল হাওলাদারের মেয়ে লাকী ফেসবুক পোস্টে উল্লেখ করেন…..
আমার নাম মোসা: লাকী আক্তার পিতা মো:বাবুল হাওলাদার।
ইউনিয়ন: ১ নম্বর বীরশ্রেষ্ঠ জাহাঙ্গীর নগর (আগরপুর)। গ্রাম + পোস্ট: চর উত্তর ভূতের দিয়া। থানা: বাবুগঞ্জ। জেলা: বরিশাল।
ব্লাড গ্রুপ : বি পজেটিভ (বি+).
পেশা : ছাত্রী
বর্তমান ঠিকানা: ঢাকা ধানমন্ডি।
বর্তমান অবস্থা : অসুস্থ, দুটি কিডনি ড্যামেজ প্রতি সপ্তাহে এক ব্যাগ বি পজিটিভ রক্তের প্রয়োজন হয়।
রোগের নাম : কিডনি রোগী।
বর্তমান চিকিৎসা কেন্দ্রের নাম : গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল।
২০১৭ সালে বরিশাল আগরপুর ডিগ্রি কলেজে এইচএসসি পরীক্ষার্থী এমতাবস্থায় অসুস্থ হয়ে পড়ি তখন ডাক্তার আমার দুটি কিডনি সমস্যা শনাক্ত করেন। আমার দুটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে আমার জরুরী চিকিৎসার জন্য বরিশালে বেশ কয়েকটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেই প্রায় ৬ মাস চিকিৎসা নেওয়া পরেও কোন উন্নতি হয়নি ক্রমাগত দিন দিন অসুস্থ হয়ে যাচ্ছি এরপরে বরিশালের ডাক্তার আমাকে ঢাকায় ট্রান্সফার করেন। ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি হই সেখানে ১ মাস চিকিৎসাধীন অবস্থায় থাকার পরে ডাক্তার আমাকে প্রতি সপ্তাহে তিনটা ডায়ালাইসিস করার জন্য পরামর্শ দিয়েছেন এবং পতি সপ্তাহে এক ব্যাগ রক্ত দিতে হয়। ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে আমাকে ডায়ালাইসিস করার জন্য ট্রান্সফার করেন ঢাকা ধানমন্ডি ৬ নম্বর রোড গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে এখানে আমি প্রতি সপ্তাহে তিনটি ডায়ালাইসিস করি এবং কিছু দিন পর পর বিভিন্ন টেস্ট করা, ওষুধ সেবন, করা রক্ত দিয়ে নিয়মিত এই পযর্ন্ত চিকিৎসা চালিয়েছি ২০১৭ সাল থেকে এখন প্রর্যন্ত আমাকে প্রতি সপ্তাহে তিনটি ডায়ালাইসিস এবং রক্ত দিয়ে থাকা লাগে এমন জীবন আমার খুবি কষ্টকর আমার বাবা সাময়িক আর্থিক তা এখন নিঃস্ব যার কারণে চিকিৎসা চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হচ্ছে না। আমার কিডনি ট্রান্সফার করে সুস্থ জীবন ফিরে পেতে চাই আপনাদের কাছে বিনীতভাবে আর্থিক সাহায্য পেতে অনুরোধ যানাচ্ছি। যাতে আমি আমার অকেজো দুটি কিডনির একটি কিডনি লাগিয়ে আমার সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পারি। সমাজের বিত্তবান ব্যক্তিদের কাছে আমার আকুল আবেদন আমার কিডনি প্রতিস্থাপন করতে সাহায্য করে আমার পাশে দাড়ান । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী আপনার কাছে আকুল আবেদন আমার দুটি কিডনির একটা কিডনি প্রতিস্থাপন করে দিতে সাহায্য করেন।
যোগাযোগ: ঠিকানা ঢাকা ১২০৫ ক্রিচেন্ট রোড বাসা নং ১৬/৫
ফোন: ০১৭৪২-০৩৫৫২১