সন্তানের
ভরণ পোষনের দাবীতে প্রশাসনের সু-দৃস্টি কামনা করে সংবাদ সম্মেলন করেছেন মরিয়ম বেগম
নামে এক অসহায় মা।
সোমবার
সকাল ১০ টায় ঝালকাঠির রাজাপুর প্রেস ক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করেন ওই মা। তিনি উপজেলার
গালুয়া ইউনিয়নের পুটিয়াখালি এলাকার মনিরুল ইসলামের মেয়ে।
মরিয়ম
বেগম তার লিখিত বক্তব্যে বলেন, গত ২৮ জানুয়ারি ২০০৫ ইং তারিখে এক লক্ষ টাকা দেন মোহরে
একই উপজেলার গালুয়া দূর্গাপুর এলাকার মৃত হালিম বেপারীর ছেলে কবির হোসেনের সাথে আমার
বিবাহ হয়। বিবাহের পর বিদেশ যাওয়ার জন্য ৩ লক্ষ টাকা সহ সাংসারিক সকল মালামাল সহ কবির
হোসেনের গৃহে আমায় তুলে দেন আমার পরিবার। কিন্তু আমার যৌতুক লোভী স্বামী আমার পিতা
ও স্বজনদের দেয়া উপহার সামগ্রীতে সন্তেষ্ট না হয়ে আমার উপর প্রায়ই শারীরিক ও মানসিক
নির্যাতন চালায়। এরই মধ্যে আমাদের দাম্পত্য জীবনে পরপর দুটি পুত্র সন্তান জিহাদ হাসান
ও জিফাত হাসান জন্ম গ্রহন করে। বর্তমানে তাদের একটির বয়স ১৫ বছর এবং অপরটির বয়স ০৯
বছর। কিছু দিন পর সে আমার পরিবারের কাছে পুনরায় বিদেশে ব্যাবসা করার জন্য আরো ৩ লক্ষ
টাকা দাবী করে। আমরা পরিবার সেই টাকা দিতে অস্বিকার করলে সে আমার সাথে যোগাযোগ করা
সহ আমাদের ভরণ পোষন বন্ধ করে দেয়। সেই থেকে দীর্ঘদিন অপেক্ষা করে কোনো প্রতিকার না
পেয়ে নিরুপায় হইয়া আমার দেনমোহর ও খোরপোষ এবং আমার এক ছেলের ভরণ পোষনের ডিত্রুী পাইবার
আবেদনে মোকাম বিজ্ঞ রাজাপুর সহকারী জজ আদালতে (মোং নং-১৯/২০১৯) মোকাদ্দমা দায়ের করি।
তারপরে গত দুই বছর আগে আমি জানতে পারি তাহার অন্যত্র আরো ৪ টি বিবাহ আছে। অন্যত্র বিবাহের
ব্যপারে সত্যতা পাওয়ার পরে আমি তাকে ডিভোর্স দেই।
বর্তমানে
দ্রব্য মূল্যের উর্দ্ধগতির বাজারে প্রতিমাসে আমার এক ছেলের ভরণ পোষনে প্রায় দশ হাজার
টাকার অধিক ব্যয় হইতেছে। আমার ছেলের বাবা আমার দেনমোহর ও খোরপোষের টাকা পরিষোধ না করায়
আমি আমার সন্তানকে নিয়ে এখন অর্ধানাহারে দিন কাটাচ্ছি। আমার দেনমোহর ও খোরপোষের এবং
আমার এক ছেলের ভরণ পোষনের টাকা যাহাতে নিয়মিত পাইতে পারি যে জন্য সংশ্লিস্ট কর্তৃপক্ষের
সু-দৃস্টি কামনা করছি।