Responsive Ad Slot

Weather - Tutiempo.net
Slider লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
Slider লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

দাখিল পরীক্ষায় মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে দেশসেরা ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদরাসা, আনন্দের জোয়ার!

কোন মন্তব্য নেই

শুক্রবার, জুলাই ১১, ২০২৫


দাখিল
পরীক্ষায় মাদরাসা শিক্ষাবোর্ডে দেশসেরা হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ঝালকাঠির এনএস কামিল মাদরাসা। এবারের দাখিল পরীক্ষায় মাদরাসা থেকে ৪২৭ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে ২২৭ জন জিপিএ- অর্জন করেছেন। আর মাদরাসাটি এবছর শতভাগ পাসের হারে দেশসেরা স্থান দখল করেছে।

মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মাওলানা গাজী শহিদুল ইসলাম জানান, ইসলামী চিন্তাবিদ হযরত আযীযুর রহমান কায়েদের প্রতিষ্ঠিত এই মাদরাসা থেকে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা ৫৪% জিপিএ- এবং ৯৯.৭৭% পাসের হার নিয়ে সাফল্যের নতুন ইতিহাস গড়েছে। তিনি বলেন, “ সাফল্য শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফসল।

এদিকে অন্যান্য মাদরাসা স্কুলের ফলাফলও আনন্দের খবর বয়ে এনেছে ঝালকাঠিবাসীর জন্য।
দারুন্নাজাত আলিয়া মাদরাসায় পাসের হার ৯৬%, তামিরুল মিল্লাত কামিল মাদরাসায় ৯৭%, শহরের ইসলামিয়া সিনিয়র ফাজিল মাদরাসার ৩৮ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৩২ জন পাস করেছেন, জিপিএ- পেয়েছেন জন।

কুতুবনগর আলিম মাদরাসার ৩৮ জনের মধ্যে ৩৪ জন পাস করেছেন, জিপিএ- পেয়েছেন জন। উদ্বোধন মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ১২৪ জন পরীক্ষার্থীর মধ্যে ৮১ জন পাস করেছেন।

এছাড়া ঝালকাঠি সরকারি হরচন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ২২২ জনের মধ্যে ২১২ জন পাস করেছেন, ৫৪ জন জিপিএ- পেয়েছেন। ঝালকাঠি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে ২১৫ জনের মধ্যে ২১২ জন পাস করেছেন আর জিপিএ- অর্জন করেছেন ৫৮ জন শিক্ষার্থী।

ঝালকাঠির শিক্ষাপ্রেমী মানুষজন আশা করছেন, এই ধারাবাহিক সাফল্য নতুন প্রজন্মকে শিক্ষার আলোয় এগিয়ে যেতে আরও অনুপ্রাণিত করবে এবং শিক্ষার শহর হিসেবে ঝালকাঠির সুনাম আরও সমৃদ্ধ করবে। শিক্ষার্থীদের এই অর্জন আগামী দিনগুলোতে দেশ গড়ার পথে তাদের দৃঢ় ভিত্তি হয়ে থাকুক কামনা সকলের।

করোনা বিস্তার রোধে ঝালকাঠিতে দিনব্যাপী কর্মশালা

কোন মন্তব্য নেই

মঙ্গলবার, আগস্ট ২৪, ২০২১


ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে জনসচেতনতা সৃস্টি এবং নো মাস্ক নো সার্ভিস, মাস্ক পরুন, সেবা নিন ইত্যাদি ক্যাম্পেইন সমূহের বহুল প্রচারের লক্ষে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সন্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।

কর্মশালায় করোনাভাইরাসের সংক্রমন বিস্তার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন, পৌর কাউন্সিলর, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। র্কশালায় সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশমালা প্রনয়ণ করা হয়।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন এ কর্মশালার আয়োজন করে। 

কে জিতলো বরিশালে?

কোন মন্তব্য নেই


পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে বরিশালে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল, শেষ পর্যন্ত তার শান্তিপূর্ণ সমাধান হলো। গত রোববার রাতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঘটনার সমঝোতা হয়। বরিশালের ঘটনার উত্তাপ সারাদেশে ছড়িয়ে পরার আগেই এই ঘটনার শান্তিপূর্ণ মীমাংসা অবশ্যই ইতিবাচক। কারণ, পাল্টাপাল্টি মামলায় পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে মোড় নিচ্ছিল। তাছাড়া এই ঘটনা সারাদেশেই জনপ্রতিনিধি এবং রাজনীতিবিদদের প্রশাসনের মুখোমুখি দাড় করিয়েছিল। আপাতত সেই সংকট থেকে সরকার নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে। তবে বরিশালের ঘটনার সমঝোতার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কে জিতলো বরিশালে?

বরিশালের ঘটনাটি ছিলো দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন এবং মেয়রের দ্বন্দ্বের পরিণতি। কেবল একটি পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে, এমটি নয়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে যে, এই ঘটনায় উভয় পক্ষই বাড়াবাড়ি করেছে। বরিশাল সিটি মেয়রের কর্মীরা পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা দেখিয়েছে সেটা যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত ছিলো, তেমনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আনসাররাও বাড়াবাড়ি করেছে। উভয় পক্ষই চেয়েছিল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়ী হতে। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ চেয়েছিলেন এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করতে যেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রশাসন ভীত হয়ে তার অনুগত থাকে। তার কথা শোনে। অন্যদিকে প্রশাসন চেয়েছিল এই ঘটনাকে পুঁজি করে মেয়রকে চাপে ফেলতে। ঘটনার পর তাৎক্ষনিক ভাবে জয়ী হয়েছিল প্রশাসন। সারাদেশেই মেয়রের পক্ষে একটা আবহ তৈরি হয়েছিল।

সাদিক আবদুল্লাহকে নিয়ে শুরু থেকেই বিভিন্ন মহলের আপত্তি ও অস্বস্তি ছিলো। ঘটনার পর সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের মনোভাবও ছিলো সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় একটি বিবৃতির প্রেক্ষাপটে। বাংলাদেশ এ্যাডমেনিটেটিভ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যে এই ঘটনা সম্পর্কে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছিল, তা ছিলো আপত্তিকর, শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এই বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পরপরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। যারা সাদিক আবদুল্লাহর সমালোচনায় মুখর ছিলেন, তার পর্যন্ত আমলাদের ধৃষ্টতা দেখে ক্ষুব্ধ হন। রাজনীতিবিদরা একট্টা হন। এরকম পরিস্থিতিতে আমরারাও পিছু হটেন। এরফলে শেষ পর্যন্ত জয়ী হন বরিশালের মেয়রই। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মেয়র না বরিশালে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে রাজনীতিবিদরাই।

বরিশাল সংঘাত: সমঝোতার চেষ্টা

কোন মন্তব্য নেই

রবিবার, আগস্ট ২২, ২০২১


গত বুধবার সংগঠিত বরিশালের সহিংসতার ঘটনার পর এখন সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কায়েকজন আমলা এই সমঝোতার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে মেয়রের নির্দেশে ময়লা-আবর্জনাগুলো আজ পরিস্কার করা হয়েছে। যদিও এখনও বরিশালে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে মেয়রের অনুসারীরা সেখানকার ইউএনও-ওসি এবং আনসারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এসবের সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, খুব শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং এটি যে `ভুল বোঝাবুঝি` হয়েছিল তার অবসান ঘটবে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বরিশালের যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেই ঘটনাটি যেন আর না বাড়ে সেজন্য সরকার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ`র সঙ্গে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা কথা বলেছেন এবং তাকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য তাকে ফোন করে পদত্যাগ বা এ ধরনের বক্তব্য আপাতত না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন এবং কোনরকম বিতর্কিত বক্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইভাবে সরকারের প্রশাসন থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইউএনও কেও কারো সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, দীর্ঘদিন ধরেই ইউএনও এবং প্রশাসনের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়রের সমস্যা চলছিল। পুলিশ প্রশাসনের সাথেও সাদিক আব্দুল্লাহ`র দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আর সেখান থেকেই এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বলা হচ্ছে যে, এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কিন্তু আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এ কথা অস্বীকার করেছেন। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর এলাকায় কোনো প্রভাব নেই এবং এ নিয়ে কোনো বিরোধও নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন যে, এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে যে পরিস্থিতিতে যেন প্রশাসনকে এবং রাজনীতিবিদদের মুখোমুখি দাঁড় করানো যায়। বরিশালের স্থানীয়রা বলছেন যে, এই ঘটনাটি সহজেই মীমাংসা করা যেত। কিন্তু দুই পক্ষই তাদের পুরনো ক্ষোভ মেটানোর জন্য এই ঘটনাটিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। পোস্টার লাগানো একটি তুচ্ছ ঘটনা ছিল। সেখানে আলাপ আলোচনা করেই বিষয়টি মীমাংসা করা যেতে পারতো। 

কিন্তু যেহেতু ইউএনও এবং ওসির সঙ্গে সিটি মেয়রের সম্পর্ক ভালো না সেইজন্য সিটি মেয়রের লোকজনকে একহাত দেখে নেয়ার জন্য অতি উৎসাহী আনসাররা এবং পুলিশরা লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়েছে বলেও কেউ কেউ মনে করেন। তবে এই ঘটনাটি যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে সারাদেশে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এবং সারাদেশে প্রশাসনের সঙ্গে আমলাদের একটি দূরত্ব তৈরি হতে পারে। এটি সরকারের জন্য কাম্য নয়। তাছাড়া এই ঘটনা দীর্ঘায়িত হলে রাজনীতিবিদদের জন্যও এটি একটি জটিল সমীকরণের বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ শেষ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে প্রশাসনকে সাথে নিয়েই। তাই সরকার এই ঘটনাটিকে আর বাড়তে না দিয়ে এখনই এটিকে সুরাহা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কাজ চলছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হবে এবং এই সংকট কেটে যাবে। আওয়ামী লীগের অন্য একজন নেতা বলেছেন, দুই পক্ষই যদি কথা বলা বন্ধ করে তাহলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্তিমিত হবে। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

ইউএনও মুনিবুরের বিরুদ্ধে ২ মামলার আবেদন

কোন মন্তব্য নেই


বরিশাল সদরের ইউএনও মু‌নিবুর রহমানের বিরুদ্ধে দুই মামলার আবেদন করা হয়েছে।

জানা গেছে, সে মামলার আবেদনকারীরা হলেন, প্যানেল মেয়র ও বাবুল নামে এক ব্যক্তি। আসামির তালিকায় রয়েছেন কোতোয়ালি থানার ওসি ও ইউএনওর বাসায় দায়িত্বে থাকা সেখানকার আনসার সদস্যরা। আজ রোববার (২২ আগস্ট) এসব তথ্য জানানো হয়।

এর আগে, বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) বাসভবনে হামলা এবং পরে পুলিশের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ ও ইউএনও মুনিবুর রহমান বাদী হয়ে পৃথক দুটি মামলা করেছেন। মামলায় ৬০২ জনকে আসামি করা হয়েছে। এর মধ্যে মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়।

গত বুধবার ঘটনার দিন এবং পরদিন ১৩ জনকে বিভিন্ন স্থান থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে শনিবার দুপুর পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে আরও আট জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবমিলিয়ে ২১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

এর মধ্যে বরিশাল-পটুয়াখালী মিনিবাস মালিক সমিতির সভাপতি মমিন উদ্দিন ওরফে কালুকে গতকাল শুক্রবার রাতে রুপাতলী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৮ আগস্ট রাতে বরিশাল সদর উপজেলা কমপ্লেক্সে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কর্তৃক বরিশাল সিটি করপোরেশনের পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের কাজে বাধা দান ও গুলি বর্ষণের ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সঙ্গে নিয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হন। তখন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নির্দেশে আনসার সদস্যরা মেয়রকে লক্ষ্য করে গুলি করেন। পরে উপস্থিত দলীয় নেতাকর্মীরা মেয়রকে উদ্ধার করে বাসায় পাঠিয়ে দেন।

মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহর ওপর হামলার খবর মুহূর্তে ছড়িয়ে পড়লে হাজার হাজার জনতা ও দলীয় নেতাকর্মীরা উপজেলা কমপ্লেক্সের গেটে উপস্থিত হন। এ সময় পুনরায় তাদের ওপর গুলি বর্ষণ করা হয়।

এতে গুলিবিদ্ধ হন- বরিশাল সিটি করপোরেশনের প্যানেল মেয়র-২ ও বরিশাল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রফিকুল ইসলাম খোকন, মহানগর আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক জিয়াউর রহমান জিয়া, সিটি করপোরেশনের প্রশাসনিক কর্মকর্তা স্বপন কুমার দাসসহ আরও ৬০ থেকে ৭০ জন।

পরীমনি কতটা ভয়ঙ্কর অপরাধী?

কোন মন্তব্য নেই


গ্রেপ্তারের ১৮ দিন অতিবাহিত হলো কিন্তু এখন পর্যন্ত জামিন হয়নি পরীমনির। শুরুতে বলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগের কথা। কিন্তু এখন এক মাদক মামলা নিয়েই তাকে তিনবার রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারপর সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীমনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। কি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সেটিও এখন পর্যন্ত খোলাসা করা হয়নি সিআইডির পক্ষ থেকে। তাহলে পরীমনির পরিণতি কী হবে? পরীমনিকে যেভাবে মাদকের মামলায় তিনবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো তাতে মনে হচ্ছে এই যে, পরীমনি একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। হতে পারে পরীমনি হয়তো বাংলাদেশের মাদক মাদক ব্যবসার মূল নেটওয়ার্কের অন্যতম মাফিয়া ডন, হতে পারে পরীমনি বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, হতে পারে পরীমনি এমন কিছু করছেন যা রাষ্ট্র এবং সরকারের জন্য ক্ষতিকর। আসলে কি বিষয়গুলো তাই নাকি পরীমনি স্রেফ প্রতিহিংসার শিকার বা পরীমনিকে গ্রেপ্তার করার পর এখন একটা কিছু দেখিয়ে এই গ্রেপ্তারটাকে জায়েজ করার চেষ্টা চলছে। এই প্রশ্নগুলো এখন বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে।

পরীমনিকে নিয়ে দৃশ্যপটও এখন পাল্টে গেছে। প্রথম দিকে যখন পরীমনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন জনমত ছিলো পরীমনির বিরুদ্ধে। সকলেই পরীমনির বাড়াবাড়ি নিয়ে মুখর ছিলো। বিশেষ করে বোট ক্লাবের ঘটনার পর যখন নাসির ইউ আহমেদ গ্রেপ্তার হন তার পরপরই অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমনির ভাংচুরের দৃশ্য, বোট ক্লাবে পরীমনির চিৎকার-চেঁচামেচি এবং পরীমনির বাসায় বারের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পরীমনির বিরুদ্ধে একটা জনমত গঠিত হয়েছিল। এরপর ৪ আগস্ট যখন পরীমনিকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন সাধারণ মানুষের মতামত ছিলো পরীমনির বিরুদ্ধে। অনেকেই এই গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়েছিল, অনেকে বলেছিল যে একজন শোবিজের তারকার এরকম উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন উচিত না। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। যারা একসময় পরীমনির সমালোচনায় মুখর ছিলেন তারাই এখন পরীমনির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে পরীমনির পক্ষে একদিকে যেমন নাগরিক সমাজ সোচ্চার হয়েছে অন্যদিকে শিল্পীরাও গতকাল মানববন্ধন করেছে। আমরা জানি যে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এই সমস্ত মানববন্ধন প্রতিবাদ আসলে কোন সমাধান নয়। কিন্তু মৌলিক যে প্রশ্নটি বারবার সামনে চলে আসে তা হলো, পরীমনির অপরাধটা কি? কেন তাকে এভাবে শাস্তি পেতে হচ্ছে, বারবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে।

আমরা এরকম বহু উদাহরণ দিতে পারি যেখানে মাদক মামলায় তাৎক্ষনিক ভাবে জামিন পাওয়া যায়। এটি একটি জামিনযোগ্য অপরাধ। আর তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্যকোন মামলাও নাই। তাছাড়া পরীমনিকে নিয়ে যে ঘটনাটা ঘটানো হচ্ছে তা কখনোই সরকারের পক্ষে যাচ্ছে না। তাহলে কারা এটি করছে, কাদের ইঙ্গিতে এই বিষয়টিকে ইলাস্টিকের মতো টেনে টেনে লম্বা করা হচ্ছে। যারা করছে তারা কি সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী? পরীমনির ঘটনার মাধ্যমে একদিকে যেমন নারীর অবমাননা ঘটেছে, তেমনি একটি বার্তা খুব সুস্পষ্টভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, তা হলো যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চাইলে সব কিছুই করতে পারে। আমরা মনে করি যে পরীমনি যদি অন্য কোন অপরাধ করে সেই অপরাধেরও বিচার করা যেতে পারে। কিন্তু পরীমনি যেহেতু একজন পরিচিত মুখ। তাকে এভাবে অযথা গ্রেপ্তার করা অর্থহীন। বরং তাকে জামিন দিয়ে তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সবগুলো তদন্ত করা এবং নিরপেক্ষ বিচারে যদি পরীমনি দোষী হয় তাহলে তকে বিচারের আওতায় আনাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু এভাবে বারবার রিমান্ডে আনা আবার জেলে পাঠানোর যে নাটক সাজানো হচ্ছে তাতে পরীমনির ক্ষতি হবে সামান্যই, আইন-বিচার এবং সামগ্রিক ব্যবস্থার উপর মানুষের এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হতে পারে। সেটি সকলের জন্যই খারাপ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

ইউএনও’র বাসভবনে হামলা ঘটনায় আ’লীগের হাইকমান্ডে অসন্তোষ

কোন মন্তব্য নেই

শুক্রবার, আগস্ট ২০, ২০২১

 


বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুনিবুর রহমানের সরকারি বাসভবনে হামলার ঘটনায় সিভিল প্রশাসন এবং ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগ অনেকটাই মুখোমুখি অবস্থানে। দুই পক্ষের অনড় অবস্থানের কারণে স্থানীয় এই ঘটনা এখন সারা দেশের মানুষের কাছেই আলোচনার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। ক্ষমতাসীন দলটির নেতারা এ ঘটনায় অস্বস্তিতে পড়েছেন।

ঘটনার পর গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে এ নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তাদের সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। সংগঠনের এক বৈঠক শেষে গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারা বলেছে, ‘আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মোকাবিলা করা হবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই বক্তব্যের সঙ্গে সরকারি দল আওয়ামী লীগের তেমন দ্বিমত নেই। তবে ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ‘বরিশাল সিটি করপোরেশনের মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও তাঁর দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটি কর্পোরেশনের কর্মচারীদের দিয়ে নানা প্রকার প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে ও সব জেলায় (বরিশাল) ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করছে।

অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এই বক্তব্য নিয়ে আওয়ামী লীগের নেতাদের মধ্যে নানা আলোচনা শুরু হয়েছে। সিভিল প্রশাসন একজন নির্বাচিত মেয়রকে এভাবে বলতে পারে কি না, তা নিয়ে নানা কথা হচ্ছে দলটির নেতাদের মধ্যে। কেউ কেউ মনে করেন, এই বক্তব্য আওয়ামী লীগের প্রতি প্রচ্ছন্ন হুমকি বা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে প্রশাসনের মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে।

অবশ্য দলটির নেতারা এও বলছেন, প্রশাসনের এই অবস্থান একটি নির্দিস্ট এলাকা ও নির্দিষ্ট ব্যক্তির ক্ষেত্রে। একে পুরো দলের ক্ষেত্রে তাদের অবস্থান বলে ধরে নেওয়া ঠিক নয়। পাশাপাশি ওই নেতারা মনে করেন, বরিশালের ঘটনার সমাধান আরও ভালোভাবে করা যেত। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও স্থানীয় প্রশাসন এবং মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ পরিস্থিতি ভালোভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেননি। যার কারণে সিভিল প্রশাসন ও ক্ষমতাসীন দলদুই পক্ষের মধ্যেই অস্বস্তি, সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

ঘটনার পর সরকারের মন্ত্রীরা এ ঘটনা নিয়ে নিজেদের উদ্বেগের কথা জানিয়েছেন। বিষয়টি কতটা গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে, তা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও মন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের কথায় উঠে এসেছে। গতকাল এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেছেন, তিনি পরিস্থিতি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলেছেন। কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না, নিজ দলেরও নেতাকর্মী হলেও ছাড় দেওয়া হবে না। আর স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছেন, বরিশালের ঘটনায় দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে অবস্থা নেওয়া হবে।

আওয়ামী লীগের একজন কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী ও দলীয় সভানেত্রী শেখ হাসিনা জানেন। শিগগিরই এর একটা সমাধান হয়ে যাবে। এই নেতা মনে করেন, আওয়ামী লীগ ক্ষমতায়। এখন যদি দলের সঙ্গে সরকারি কর্মচারীদের দ্বন্দ্ব থাকে, সেটা কারোর জন্যই ভালো নয়। বিশেষ করে সাধারণ মানুষ এই দায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ, তথা আওয়ামী লীগকেই দেবে। তবে তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে মন্ত্রীরা ব্যবস্থা নেওয়া কথা বলেছেন। অনেককে গ্রেপ্তারও করা হয়েছে। এ অবস্থায় প্রশাসন ক্যাডারদের সংগঠনের বিবৃতিটা আরও পরিমার্জিত হতে পারত।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেন, গণমাধ্যমে খবর দেখে এ নিয়ে এখনই মন্তব্য করার কিছু নেই। তা ছাড়া বরিশাল বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাও তিনি নন। হানিফ বলেন, কোনো সমস্যা হলে চিন্তা করে দল ও সরকার যেটা করণীয়, সেটা করবে।

আজ শুক্রবার সকালে আলাপকালে একটি মন্ত্রণালয়ের সচিব বলেন, প্রশাসনের কর্মকর্তাকর্মচারী মাঠপর্যায়ে কাজ করেন। তাঁরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগলে দায়িত্ব পালনে সমস্যা হয়। মূলত এ কারণেই অ্যাডমিনিস্ট্রেশন সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের এমন প্রতিক্রিয়া। এই সচিব মনে করেন, কোথাও কোথাও সরকারি দলের কর্মীরা কাজে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। মাঠ প্রশাসনের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়ে যান। এ অবস্থায় প্রশাসন চালানো কঠিন হয়ে পড়ে। যে প্রতিক্রিয়া দেখানো হয়েছে, সেখানে এটাই বলতে চাওয়া হয়েছে যে যার যার কাজ তাকে করতে দিতে হবে। কর্মকর্তাকর্মচারীদের নিরাপত্তায় কারও বাধা মেনে নেওয়ার সুযোগ নেই।

গত বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে বরিশাল সিটি করপোরেশনের ২০ থেকে ২৫ জন কর্মচারী নগরের সিঅ্যান্ডবি রোডে উপজেলা পরিষদ এলাকায় গিয়ে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতার শুভেচ্ছাসংবলিত ব্যানার অপসারণের কাজ শুরু করেন। এ সময় ইউএনওর কার্যালয় ও সরকারি বাসভবনের নিরাপত্তায় নিয়োজিত আনসার সদস্যরা তাঁদের পরিচয় জানতে চান। পরে তাঁরা সকালে এসে কাজ করার জন্য বলেন। এ সময় সিটি করপোরেশনের কর্মচারীদের সঙ্গে দায়িত্বরত আনসার সদস্যদের বাগ্‌বিতণ্ডা হয়।

খবর পেয়ে আওয়ামী লীগের নেতা হাসান আহেমদের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের জেলা কমিটির সহসভাপতি আতিকুল্লাহ খান, সাংগঠনিক সম্পাদক রাজীব খান, সাজ্জাদ সেরনিয়াবাতসহ শতাধিক নেতা-কর্মী সেখানে যান। পরে সেখানে আনসার সদস্যদের সঙ্গে তাঁদের কথা-কাটাকাটি হয়। এ সময় নেতা-কর্মীরা ইউএনওর বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করেন।

ইউএনও মুনিবুর রহমান অভিযোগ করে বলেন, ‘উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণে শোক দিবস উপলক্ষে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের ব্যানার ও পোস্টার লাগানো ছিল। রাতে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এসব ছিঁড়তে আসেন। রাতে লোকজন ঘুমাচ্ছে জানিয়ে তাঁদের সকালে আসতে বলা হয়। এ কারণে তাঁরা আমাকে গালিগালাজ করেন। আমার বাসায় ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালান।

এই ঘটনা পুলিশ ও ইউএনও দুটি মামলা করেন। এতে মেয়র সাদিক আবদুল্লাহকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। ওই মামলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের দুই ডজন নেতাকর্মীর নামও রয়েছে।

বরিশাল বিভাগের দায়িত্বে থাকা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল হোসেন বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট সবাই যদি ঠান্ডা মাথায় বিষয়টি সুরাহা করার চেষ্টা করতেন, তবে ঘটনা এত দূর গড়াত না। এখন আমরা চাই, এ ঘটনার একটি সুষ্ঠু তদন্ত হোক।

আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির একজন সম্পাদক বলেন, তাঁরা যতটুকু জেনেছেন তা হলো, মেয়র সাদিক আবদুল্লাহর সঙ্গে পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুকের দ্বন্দ্বের জেরে ঘটনাটি ঘটেছে। এর মধ্যে ইউএনও কীভাবে এলেন, তাঁর বাসায় কেন হামলা করা হলো, এটা একটা রহস্য। স্থানীয় রাজনীতির একটা বিষয় এখন সরকারের ওপর এসে পড়েছে, দলের ওপর পড়েছে। তিনি বলেন, ‘আমি দেখেছি, আলোচনার সময় আওয়ামী লীগের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা এই ঘটনায় বিরক্তি প্রকাশ করেছেন। এত ছোট ইস্যুকে জাতীয় ইস্যুতে পরিণত করায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাদের দুষছেন তাঁরা। প্রশাসনের বিবৃতিতে যে ভাষায় বলা হয়েছে তা শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না বলে মনে করছেন নেতারা।

মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে গ্রেপ্তার দাবি

কোন মন্তব্য নেই


বরিশালের ঘটনায় মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহকে দায়ী করেছে বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশন। পুরো বরিশাল বিভাগ মেয়রের অত্যাচারে ওষ্ঠাগত বলে অভিযোগ করে তার গ্রেপ্তার দাবিও জানানো হয়েছে।

 

সংগঠনের এক জরুরি সভা শেষে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় সংবাদ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে দাবি জানানো হয়েছে।

 

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের কার্যনির্বাহী পরিষদের জরুরি সভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব কবির বিন আনােয়ার।

 

সভায় বরিশাল সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বাসভবনে বুধবার রাতে সংঘটিত ঘটনা নিয়ে বিস্তারিত আলােচনা হয়।

 

সভা শেষে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, আইনের মাধ্যমেই দুর্বৃত্তদের মােকাবিলা করা হবে এবং আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। বরিশালের ঘটনাবলি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, সরকারি কর্তব্য পালন করতে গিয়ে একজন নির্বাহী কর্মকর্তা কীভাবে রাজনৈতিক দুর্বৃত্তদের দ্বারা হেনস্থা হয়েছেন। তার বাসায় হামলা করা হয়, যেখানে তার করােনা আক্রান্ত অসুস্থ বাবা-মা ছিলেন। তাদের উপস্থিতিতেই ওই কর্মকর্তাকে গালিগালাজ করা হয়েছে। তার বাড়ির গেট ভেঙে প্রবেশ করে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। তার চামড়া তুলে নেয়ার জন্য প্রকাশ্যে স্লোগান দিয়ে মিছিল করেছে দুর্বৃত্তরা।

 

বাংলাদেশ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের অভিযোগ, মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ তার দুর্বৃত্ত বাহিনী সিটি করপােরেশনের কর্মচারীদের দিয়ে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছেন। তারা পুরো জেলায় ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন।

 

এমন কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা জানিয়েছে বাংলাদেশ অ্যাডনিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস অ্যাসােসিয়েশন।

 

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মেয়রের অত্যাচারে বরিশালবাসী অতিষ্ঠ। মেয়রের হুকুমেই এই ঘটনা সংঘটিত হয়েছে বলে অ্যাসােসিয়েশন মনে করে। অ্যাসােসিয়েশন অবিলম্বে তার গ্রেপ্তার দাবি করছে। পাশাপাশি তার বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ নেওয়ার জন্য অঙ্গীকার ব্যক্ত করছে।

 

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী অত্যন্ত আস্থাবান। তার দেশপ্রেমের চেতনা ধারণ করে সবাই কাজ করছে। আমরা দায়িত্ব-কর্তব্য পালনে সচেষ্ট থাকব, একই সঙ্গে এসব রাজনৈতিক দুর্বৃত্তকে আইনের মাধ্যমেই মােকাবিলা করব।

 

আইনের শাসনের মাধ্যমে স্বচ্ছ জবাবদিহিতামূলক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় প্রধানমন্ত্রীর যে অভিপ্রায় সে ব্যাপারে সবাই অঙ্গীকারবদ্ধ এবং কোন পরিস্থিতিতেই তারা সেই পথ থেকে বিচ্যুত হবে না।

Don't Miss
©dnn24live all rights reserved
design by khyrul islam