৮ ডিসেম্বর (বুধবার) ঝালকাঠি সদর ও নলছিটি উপজেলা হানাদারমুক্ত দিবস। এই উপলক্ষে জেলা প্রশাসন ও জেলা আওয়ামী লীগ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে।
১৯৭১ সালে ৮ ডিসেম্বর সকাল থেকেই ঝালকাঠিতে অবস্থানকারি হানাদার ম্যালেশিয়া বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে যাওয়ার জন্য পদ্মা পেট্টোলিয়াম ডিপোর ঘাটে গানবোর্ট অপেক্ষা করতে থাকে। হানাদার বাহিনী শহরে কার্ফিউ জারি করে তাদের রসদ গানবোর্টে তুলে বেলা সাড়ে ১২টায় ঝালকাঠি শহর ত্যাগ করে।
এই সময় শহরের চারিপাশে অবস্থানকারি মুক্তিযোদ্ধারা বিভিন্ন ইউনিট শহরে প্রবেশ করতে শুরু করে। বিকাল সাড়ে ৪টার মধ্যে মুক্তিযোদ্ধারা থানার চারিপাশ ঘিরে রাখে। এই খবর পেয়ে বাধভাঙ্গা জোয়ারের মতন মানুষ মুক্তির উল্লাস নিয়ে রাস্তায় নেমে পরে। হানাদার বাহিনী চলে যাওয়ার পরে রাজাকাররা পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন এবং মুক্তিকামী মানুষ রাজাকারদের ধরে পিটিয়ে হত্যা করে ও তৎকালিন পিচ কমিটির সদস্যরা আত্বগোপনে গিয়ে জীবন বাচায়। সন্ধায় এই এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেলিম শাহনেওয়াজ আসার পরে পুলিশ বাহিনী তার কছে আত্মসমর্পন করেন এবং কোন ধরনের রক্তপাত ছাড়াই ঝালকাঠি হানাদারমুক্ত হয়।
একই দিন ঝালকাঠির নলছিটিতে বিকেলে মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার সেকেন্দার আলী তার এবং আশেপাশের ইউনিট নিয়ে থানা আক্রমন করেন। কিন্তু থানা থেকে কোন ধরনের প্রতিরোধ না গড়ে সেকেন্দার আলীর কাছে অ¯্র সমর্পন করে এবং বিনা রক্তপাতে নলছিটি উপজেলাও হানাদারমুক্ত হয়। তখন চারিদিক থেকে মানুষ জাতিয় পতাকা নিয়ে উল্লাস করে রাস্তায় নেমে আসে।