Responsive Ad Slot

Weather - Tutiempo.net
News ticker লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান
News ticker লেবেলটি সহ পোস্টগুলি দেখানো হচ্ছে৷ সকল পোস্ট দেখান

করোনা বিস্তার রোধে ঝালকাঠিতে দিনব্যাপী কর্মশালা

কোন মন্তব্য নেই

মঙ্গলবার, আগস্ট ২৪, ২০২১


ঝালকাঠিতে করোনাভাইরাসের বিস্তাররোধে জনসচেতনতা সৃস্টি এবং নো মাস্ক নো সার্ভিস, মাস্ক পরুন, সেবা নিন ইত্যাদি ক্যাম্পেইন সমূহের বহুল প্রচারের লক্ষে দিনব্যাপী কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৩ আগস্ট) সকালে ঝালকাঠি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সন্মেলন কক্ষে ভার্চুয়ালি সংযুক্ত হয়ে এই কর্মশালার উদ্বোধন করেন বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার সাইফুল হাসান বাদল। এতে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জোহর আলী।

কর্মশালায় করোনাভাইরাসের সংক্রমন বিস্তার রোধে জনসচেতনতা বাড়াতে গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরে বক্তব্য দেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামাল হোসেন, পৌর কাউন্সিলর, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা। র্কশালায় সচেতনতা বৃদ্ধি কার্যক্রম বাস্তবায়নের জন্য সুপারিশমালা প্রনয়ণ করা হয়।

সরকারের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের উদ্যোগে জেলা প্রশাসন এ কর্মশালার আয়োজন করে। 

কে জিতলো বরিশালে?

কোন মন্তব্য নেই


পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে বরিশালে যে সহিংসতার ঘটনা ঘটেছিল, শেষ পর্যন্ত তার শান্তিপূর্ণ সমাধান হলো। গত রোববার রাতে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত বৈঠকে ঘটনার সমঝোতা হয়। বরিশালের ঘটনার উত্তাপ সারাদেশে ছড়িয়ে পরার আগেই এই ঘটনার শান্তিপূর্ণ মীমাংসা অবশ্যই ইতিবাচক। কারণ, পাল্টাপাল্টি মামলায় পরিস্থিতি ক্রমশই খারাপের দিকে মোড় নিচ্ছিল। তাছাড়া এই ঘটনা সারাদেশেই জনপ্রতিনিধি এবং রাজনীতিবিদদের প্রশাসনের মুখোমুখি দাড় করিয়েছিল। আপাতত সেই সংকট থেকে সরকার নিজেকে রক্ষা করতে পেরেছে। তবে বরিশালের ঘটনার সমঝোতার পর স্বাভাবিক ভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, কে জিতলো বরিশালে?

বরিশালের ঘটনাটি ছিলো দীর্ঘদিন ধরে প্রশাসন এবং মেয়রের দ্বন্দ্বের পরিণতি। কেবল একটি পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করেই এই ঘটনা ঘটেছে, এমটি নয়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে স্পষ্ট প্রমাণিত হয়েছে যে, এই ঘটনায় উভয় পক্ষই বাড়াবাড়ি করেছে। বরিশাল সিটি মেয়রের কর্মীরা পোষ্টার ছেড়াকে কেন্দ্র করে যে উত্তেজনা দেখিয়েছে সেটা যেমন অনাকাঙ্ক্ষিত এবং অনভিপ্রেত ছিলো, তেমনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার আনসাররাও বাড়াবাড়ি করেছে। উভয় পক্ষই চেয়েছিল এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে জয়ী হতে। মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ চেয়েছিলেন এমন এক পরিস্থিতি তৈরি করতে যেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং প্রশাসন ভীত হয়ে তার অনুগত থাকে। তার কথা শোনে। অন্যদিকে প্রশাসন চেয়েছিল এই ঘটনাকে পুঁজি করে মেয়রকে চাপে ফেলতে। ঘটনার পর তাৎক্ষনিক ভাবে জয়ী হয়েছিল প্রশাসন। সারাদেশেই মেয়রের পক্ষে একটা আবহ তৈরি হয়েছিল।

সাদিক আবদুল্লাহকে নিয়ে শুরু থেকেই বিভিন্ন মহলের আপত্তি ও অস্বস্তি ছিলো। ঘটনার পর সরকারের নীতি নির্ধারক মহলের মনোভাবও ছিলো সাদিক আবদুল্লাহর বিরুদ্ধে। কিন্তু পরিস্থিতি পাল্টে যায় একটি বিবৃতির প্রেক্ষাপটে। বাংলাদেশ এ্যাডমেনিটেটিভ এসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে যে এই ঘটনা সম্পর্কে যে বিবৃতি দেয়া হয়েছিল, তা ছিলো আপত্তিকর, শিষ্টাচার বহির্ভূত এবং ঔদ্ধত্যপূর্ণ। এই বিবৃতি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হবার পরপরই পরিস্থিতি পাল্টে যায়। যারা সাদিক আবদুল্লাহর সমালোচনায় মুখর ছিলেন, তার পর্যন্ত আমলাদের ধৃষ্টতা দেখে ক্ষুব্ধ হন। রাজনীতিবিদরা একট্টা হন। এরকম পরিস্থিতিতে আমরারাও পিছু হটেন। এরফলে শেষ পর্যন্ত জয়ী হন বরিশালের মেয়রই। তবে, রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, মেয়র না বরিশালে শেষ পর্যন্ত জয়ী হয়েছে রাজনীতিবিদরাই।

বরিশাল সংঘাত: সমঝোতার চেষ্টা

কোন মন্তব্য নেই

রবিবার, আগস্ট ২২, ২০২১


গত বুধবার সংগঠিত বরিশালের সহিংসতার ঘটনার পর এখন সমঝোতার চেষ্টা চলছে। আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এবং সরকারের গুরুত্বপূর্ণ কায়েকজন আমলা এই সমঝোতার চেষ্টা করছেন বলে জানা গেছে। ইতিমধ্যে মেয়রের নির্দেশে ময়লা-আবর্জনাগুলো আজ পরিস্কার করা হয়েছে। যদিও এখনও বরিশালে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে। যাদেরকে গ্রেফতার করা হয়েছিল তাদের জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করা হয়েছে। অন্যদিকে মেয়রের অনুসারীরা সেখানকার ইউএনও-ওসি এবং আনসারদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিন্তু এসবের সত্ত্বেও আওয়ামী লীগের একাধিক দায়িত্বশীল সূত্র বলছে যে, খুব শিগগিরই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসবে এবং এটি যে `ভুল বোঝাবুঝি` হয়েছিল তার অবসান ঘটবে। সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, বরিশালের যে ঘটনাটি ঘটেছিল সেই ঘটনাটি যেন আর না বাড়ে সেজন্য সরকার চেষ্টা করছে। ইতিমধ্যে বরিশাল সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাদিক আব্দুল্লাহ`র সঙ্গে আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ একাধিক নেতা কথা বলেছেন এবং তাকে শান্ত থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের একজন প্রেসিডিয়াম সদস্য তাকে ফোন করে পদত্যাগ বা এ ধরনের বক্তব্য আপাতত না দেওয়ার জন্য নির্দেশনা দিয়েছেন এবং কোনরকম বিতর্কিত বক্তব্য থেকে বিরত থাকার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

একইভাবে সরকারের প্রশাসন থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা ইউএনও কেও কারো সাথে এই বিষয় নিয়ে কথা না বলার পরামর্শ দিয়েছেন। বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে যে, দীর্ঘদিন ধরেই ইউএনও এবং প্রশাসনের সঙ্গে বরিশাল সিটি মেয়রের সমস্যা চলছিল। পুলিশ প্রশাসনের সাথেও সাদিক আব্দুল্লাহ`র দূরত্ব তৈরি হয়েছিল। আর সেখান থেকেই এই সংকট সৃষ্টি হয়েছে। যদিও বলা হচ্ছে যে, এই ঘটনায় আওয়ামী লীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দল। কিন্তু আওয়ামী লীগের একাধিক শীর্ষ নেতা এ কথা অস্বীকার করেছেন। পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রীর এলাকায় কোনো প্রভাব নেই এবং এ নিয়ে কোনো বিরোধও নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ। তারা বলছেন যে, এমন একটা পরিস্থিতির সৃষ্টি করা হয়েছে যে পরিস্থিতিতে যেন প্রশাসনকে এবং রাজনীতিবিদদের মুখোমুখি দাঁড় করানো যায়। বরিশালের স্থানীয়রা বলছেন যে, এই ঘটনাটি সহজেই মীমাংসা করা যেত। কিন্তু দুই পক্ষই তাদের পুরনো ক্ষোভ মেটানোর জন্য এই ঘটনাটিকে ব্যবহার করার চেষ্টা করেছেন। পোস্টার লাগানো একটি তুচ্ছ ঘটনা ছিল। সেখানে আলাপ আলোচনা করেই বিষয়টি মীমাংসা করা যেতে পারতো। 

কিন্তু যেহেতু ইউএনও এবং ওসির সঙ্গে সিটি মেয়রের সম্পর্ক ভালো না সেইজন্য সিটি মেয়রের লোকজনকে একহাত দেখে নেয়ার জন্য অতি উৎসাহী আনসাররা এবং পুলিশরা লঙ্কাকাণ্ড বাঁধিয়েছে বলেও কেউ কেউ মনে করেন। তবে এই ঘটনাটি যদি দীর্ঘায়িত হয় তাহলে সারাদেশে তার বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে এবং সারাদেশে প্রশাসনের সঙ্গে আমলাদের একটি দূরত্ব তৈরি হতে পারে। এটি সরকারের জন্য কাম্য নয়। তাছাড়া এই ঘটনা দীর্ঘায়িত হলে রাজনীতিবিদদের জন্যও এটি একটি জটিল সমীকরণের বিষয় হয়ে দাঁড়াতে পারে। কারণ শেষ পর্যন্ত জনপ্রতিনিধিদের কাজ করতে হবে প্রশাসনকে সাথে নিয়েই। তাই সরকার এই ঘটনাটিকে আর বাড়তে না দিয়ে এখনই এটিকে সুরাহা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এবং সেই প্রক্রিয়া বাস্তবায়নে কাজ চলছে। আওয়ামী লীগের একজন নেতা বলেছেন, আগামী কয়েকদিনের মধ্যেই পরিস্থিতির দৃশ্যমান উন্নতি হবে এবং এই সংকট কেটে যাবে। আওয়ামী লীগের অন্য একজন নেতা বলেছেন, দুই পক্ষই যদি কথা বলা বন্ধ করে তাহলে পরিস্থিতি আস্তে আস্তে স্তিমিত হবে। তবে আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।

পরীমনি কতটা ভয়ঙ্কর অপরাধী?

কোন মন্তব্য নেই


গ্রেপ্তারের ১৮ দিন অতিবাহিত হলো কিন্তু এখন পর্যন্ত জামিন হয়নি পরীমনির। শুরুতে বলা হয়েছিল তার বিরুদ্ধে অন্তহীন অভিযোগের কথা। কিন্তু এখন এক মাদক মামলা নিয়েই তাকে তিনবার রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তারপর সিআইডির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, পরীমনি অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। কি গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন সেটিও এখন পর্যন্ত খোলাসা করা হয়নি সিআইডির পক্ষ থেকে। তাহলে পরীমনির পরিণতি কী হবে? পরীমনিকে যেভাবে মাদকের মামলায় তিনবার রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলো তাতে মনে হচ্ছে এই যে, পরীমনি একজন ভয়ঙ্কর অপরাধী। হতে পারে পরীমনি হয়তো বাংলাদেশের মাদক মাদক ব্যবসার মূল নেটওয়ার্কের অন্যতম মাফিয়া ডন, হতে পারে পরীমনি বাংলাদেশ বিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, হতে পারে পরীমনি এমন কিছু করছেন যা রাষ্ট্র এবং সরকারের জন্য ক্ষতিকর। আসলে কি বিষয়গুলো তাই নাকি পরীমনি স্রেফ প্রতিহিংসার শিকার বা পরীমনিকে গ্রেপ্তার করার পর এখন একটা কিছু দেখিয়ে এই গ্রেপ্তারটাকে জায়েজ করার চেষ্টা চলছে। এই প্রশ্নগুলো এখন বিভিন্ন মহল থেকে উঠছে।

পরীমনিকে নিয়ে দৃশ্যপটও এখন পাল্টে গেছে। প্রথম দিকে যখন পরীমনিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল তখন জনমত ছিলো পরীমনির বিরুদ্ধে। সকলেই পরীমনির বাড়াবাড়ি নিয়ে মুখর ছিলো। বিশেষ করে বোট ক্লাবের ঘটনার পর যখন নাসির ইউ আহমেদ গ্রেপ্তার হন তার পরপরই অল কমিউনিটি ক্লাবে পরীমনির ভাংচুরের দৃশ্য, বোট ক্লাবে পরীমনির চিৎকার-চেঁচামেচি এবং পরীমনির বাসায় বারের ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়ার পর পরীমনির বিরুদ্ধে একটা জনমত গঠিত হয়েছিল। এরপর ৪ আগস্ট যখন পরীমনিকে গ্রেপ্তার করা হয় তখন সাধারণ মানুষের মতামত ছিলো পরীমনির বিরুদ্ধে। অনেকেই এই গ্রেপ্তারকে স্বাগত জানিয়েছিল, অনেকে বলেছিল যে একজন শোবিজের তারকার এরকম উচ্ছৃঙ্খল জীবনযাপন উচিত না। কিন্তু যতই দিন যাচ্ছে ততই পরিস্থিতি পাল্টে যাচ্ছে। যারা একসময় পরীমনির সমালোচনায় মুখর ছিলেন তারাই এখন পরীমনির পক্ষে অবস্থান নিচ্ছেন। বিশেষ করে গত কয়েকদিনে পরীমনির পক্ষে একদিকে যেমন নাগরিক সমাজ সোচ্চার হয়েছে অন্যদিকে শিল্পীরাও গতকাল মানববন্ধন করেছে। আমরা জানি যে, আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে। এই সমস্ত মানববন্ধন প্রতিবাদ আসলে কোন সমাধান নয়। কিন্তু মৌলিক যে প্রশ্নটি বারবার সামনে চলে আসে তা হলো, পরীমনির অপরাধটা কি? কেন তাকে এভাবে শাস্তি পেতে হচ্ছে, বারবার তাকে রিমান্ডে নেয়া হচ্ছে।

আমরা এরকম বহু উদাহরণ দিতে পারি যেখানে মাদক মামলায় তাৎক্ষনিক ভাবে জামিন পাওয়া যায়। এটি একটি জামিনযোগ্য অপরাধ। আর তার বিরুদ্ধে এখন পর্যন্ত অন্যকোন মামলাও নাই। তাছাড়া পরীমনিকে নিয়ে যে ঘটনাটা ঘটানো হচ্ছে তা কখনোই সরকারের পক্ষে যাচ্ছে না। তাহলে কারা এটি করছে, কাদের ইঙ্গিতে এই বিষয়টিকে ইলাস্টিকের মতো টেনে টেনে লম্বা করা হচ্ছে। যারা করছে তারা কি সরকারের শুভাকাঙ্ক্ষী? পরীমনির ঘটনার মাধ্যমে একদিকে যেমন নারীর অবমাননা ঘটেছে, তেমনি একটি বার্তা খুব সুস্পষ্টভাবে ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হচ্ছে, তা হলো যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা চাইলে সব কিছুই করতে পারে। আমরা মনে করি যে পরীমনি যদি অন্য কোন অপরাধ করে সেই অপরাধেরও বিচার করা যেতে পারে। কিন্তু পরীমনি যেহেতু একজন পরিচিত মুখ। তাকে এভাবে অযথা গ্রেপ্তার করা অর্থহীন। বরং তাকে জামিন দিয়ে তার বিরুদ্ধে যত অভিযোগ সবগুলো তদন্ত করা এবং নিরপেক্ষ বিচারে যদি পরীমনি দোষী হয় তাহলে তকে বিচারের আওতায় আনাটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। কিন্তু এভাবে বারবার রিমান্ডে আনা আবার জেলে পাঠানোর যে নাটক সাজানো হচ্ছে তাতে পরীমনির ক্ষতি হবে সামান্যই, আইন-বিচার এবং সামগ্রিক ব্যবস্থার উপর মানুষের এক ধরনের অনাস্থা তৈরি হতে পারে। সেটি সকলের জন্যই খারাপ দৃষ্টান্ত হিসেবে বিবেচিত হবে।

বরিশালে ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার উধাও

কোন মন্তব্য নেই

 


ওয়ার্ড মাস্টারদের মাধ্যমে এসব অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা হয়েছিল বরিশালের শের-ই-বাংলা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনাভাইরাস ওয়ার্ড থেকে প্রায় ১০০ অক্সিজেন সিলিন্ডার ও প্রায় ১০০ হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা উধাও হয়ে গেছে। এ ঘটনা তদন্তের জন্য ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে।

শনিবার (২১ আগস্ট) অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা ট্রিবিউনের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে। এতদিন বিষয়টি গোপন থাকলেও তদন্ত কমিটির মাধ্যমে তা প্রকাশ পায়।

হাসপাতালের স্টোর সূত্র জানায়, কোনো ওয়ার্ডে কতটি অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা রয়েছে তার একটি তালিকা আছে। তালিকা অনুযায়ী বিভিন্ন ওয়ার্ডে খোঁজ নিয়ে দেখা যায় ১০০টি সিলিন্ডার ও ১০০টি হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা নেই। করোনাভাইরাস ওয়ার্ড মাস্টারদের মাধ্যমে এসব অক্সিজেন সিলিন্ডার ও হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা সরবরাহ করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ খুঁজেও সেগুলো পাওয়া যায়নি। ধারণা করা হচ্ছে এগুলো চুরি হয়েছে। বিষয়টি পরিচালককে জানানো হলে তিনি একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে দেন।

চিকিৎসক ডা. মাহামুদ হাসানকে প্রধান করে গঠিত তদন্ত কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন সেবা তত্ত্বাবধায়ক সেলিনা আক্তার ও ওয়ার্ড মাস্টার দুই জন এবং তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী সংগঠনের সভাপতি ও সম্পাদক।

ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে হাসপাতালের পরিচালক ডা. এইচএম সাইফুল ইসলাম বলেন, “অক্সিজেন সিলিন্ডার এবং হাই ফ্লো ন্যাজাল ক্যানোলা পাওয়া যাচ্ছে না। এ জন্য তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটি প্রতিবেদন দিলে বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাবে।

Dengue Update: করোনা আবহে এবার ডেঙ্গু নিয়ে আগাম সতর্ক

কোন মন্তব্য নেই

শুক্রবার, আগস্ট ২০, ২০২১


দিনের পর দিন বিপজ্জনক উঠছে ডেঙ্গু। বিশেষ করে করোনা ভাইরাসের এই সংক্রমণের মধ্যেই ডেঙ্গুর প্রকোপ বাড়ায় চিন্তিত সবাই। দেশে গত জুলাই থেকে চোখ রাঙাচ্ছে ডেঙ্গুজ্বর। আগস্টে এসে আরও ভয়ংকর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে গত জুলাই মাসে মারা গেছে ১২ জন, আগস্টে পর্যন্ত ১৯ জনের প্রাণহানি হয়েছে। অবস্থায় এডিস মশা নিয়ন্ত্রণ করে আগাম সতর্কে ডেঙ্গু প্রতিরোধে জোর দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

করোনা মহামারীর মধ্যেও প্রতিদিন প্রায় ২৫০ জন মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হচ্ছেন। এখনই ব্যবস্থা না নিলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে উঠবে। স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার কন্ট্রোল রুমের দেওয়া তথ্যে জানা যায়, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন ২৭০ জন। এর মধ্যে রাজধানীর হাসপাতালে ভর্তি ২৪০ জন, বাকিরা রাজধানীর বাইরে সারা দেশের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে সারা দেশের হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন হাজার ২৩৮ জন, এর মধ্যে ঢাকার হাসপাতালে ভর্তি আছেন হাজার ১৪৫ জন। বছর এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৩১ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে জুলাইতে ১২ জন, আগস্টে ১৯ জন।

করোনা রোগীর চাপ সামলাতে হিমশিম খাচ্ছে হাসপাতালগুলো। এর মধ্যে নতুন দুশ্চিন্তা হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসায় চারটি হাসপাতাল নির্ধারণ করে দিয়েছে সরকার। বেসরকারি হাসপাতাল ক্লিনিকেও চলছে চিকিৎসা। কিন্তু সে হাসপাতালগুলোতেও রোগী সংকুলান হওয়া কঠিন হয়ে উঠছে। গতকাল পর্যন্ত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন ৩৭ জন, সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ মিটফোর্ড হাসপাতালে হাজার ১০৬ জন, ঢাকা শিশু হাসপাতালে ৩০৪ জন, শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সাতজন, বিএসএমএমইউ-তে ৯৩ জন, পুলিশ হাসপাতালে একজন, বিজিবি হাসপাতালে নয়জন, সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে ২৬৪ জন, কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে আটজন। ঢাকার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি আছেন হাজার ৮২৯ জন, বেসরকারি ক্লিনিক হাসপাতালে ভর্তি আছেন হাজার জন।

শিশুদের জন্য ভয়ংকর হয়ে উঠছে ডেঙ্গু। হাসপাতালগুলোতে ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হওয়া শিশু রোগীদের সংখ্যা বাড়ছে। ঢাকা শিশু হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক শফি আহমেদ বলেন, ‘শিশুদের মধ্যে ডেঙ্গু আক্রান্তের হার ঊর্ধ্বমুখী। প্রতিদিন প্রায় ১০ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়। ডেঙ্গু ফিভার ডেঙ্গু শক সিনড্রোম নিয়ে অনেক শিশু আসছে।

শিশুদের জন্য করোনাভাইরাসের চেয়ে ডেঙ্গু বেশি বিপজ্জনক। করোনায় শিশুদের মাইল্ড সিম্পটম হয় এবং তাদের ঝুঁকিটা কম থাকে। কিন্তু ডেঙ্গু শিশুরা অনেক ঝুঁকিতে থাকে। শিশুদের শরীরে কামড়াতে মশার সুবিধা হয়। প্রায় বিনা বাধায় শিশুর পাতলা চামড়া ভেদ করে ডেঙ্গুর জীবাণুবাহী মশা কামড়ায়। মশার কামড় থেকে বাঁচাতে মশারির পাশাপাশি ক্রিম রিপেলেন্ট মাখানো যেতে পারে।’  অনেক রোগী ডেঙ্গুর পাশাপাশি একই সময়ে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের ঝুঁকি তুলনামূলক বেশি। জন্য সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন চিকিৎসকরা।

প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক ডা. বি এম আবদুল্লাহ বলেন, ‘জ্বরের সঙ্গে শরীরে প্রচ- ব্যথা থাকলে অবশ্যই ডেঙ্গুজ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন কিনা তা টেস্ট করে দেখতে হবে। সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ব্যথানাশক ট্যাবলেট খাওয়া যাবে না। শিশুদের ক্ষেত্রে বিশেষ ভাবে সতর্ক থাকতে হবে। করোনা ডেঙ্গু রোগী বাড়তে থাকায় সবাইকে বাড়তি সতর্কতা অবলম্বন করতে হবে। অনেকে একই সময়ে দুই রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাদের উচিত হবে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানে থাকা।

ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. আতিকুল ইসলাম বলেন, নিজেদের সুস্থতার জন্য সবাই মিলে, ‘১০টায় ১০ মিনিট প্রতি শনিবার, নিজ নিজ বাসাবাড়ি করি পরিষ্কারস্লোগানটিকে বাস্তবায়ন করতে হবে। 

Don't Miss
©dnn24live all rights reserved
design by khyrul islam